Banglar Bari: bengal govt disburses housing scheme money housing

Banglar Bari: প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার! আজ থেকেই অ্যাকাউন্টে ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা

আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বকেয়া সেই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি লোকসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই শুরু হয় সমীক্ষা। তারপর আজ, মঙ্গলবার থেকে অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকা শুরু হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার নবান্ন সভা ঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৪২ জন উপভোক্তার হাতে আবাস তৈরির প্রথম কিস্তির অর্থ তুলে দেন তিনি। সঙ্গে ঘোষণা করে দেন, ২০২৬ সালের ভোটের আগে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের অর্থ দেওয়া হবে। দুই ধাপে উপভোক্তারা এই অর্থ পাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিল-মে জুড়ে হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে আবাস রাজনীতিই যে তাঁর বড় অস্ত্র তা, মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা না-দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে এই অর্থ দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই কিস্তিতে আবাসের টাকা দেওয়া হবে। ১২ লক্ষ সুবিধাভোগী এই টাকা পাবেন। ৩-৪ দিনের মধ্য়ে সকলের কাছে এই টাকা পেয়ে যাবেন। যার জন্য রাজ্যের মোট ১৪ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হবে। যোগ্য সুবিধাভোগীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য কড়া হাতে সার্ভে করা হয়েছে। প্রায় ৩৪ লক্ষ বাড়িতে সমীক্ষা চলেছে। নজর রেখেছেন প্রশাসনিক প্রধানরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমীক্ষা করে ২৮ লক্ষ যোগ্য সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রথম ধাপে এর মধ্য়ে ১২ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়া হল। বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তাহলে রাজ্যই ব্যবস্থা করবে। ২০২৬ সালের আগে সকলকে দুই কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। মে-জুন মাসে প৮ লক্ষ এবং বাকি ৮ লক্ষকে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রকেও তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “এই প্রকল্পে কেন্দ্রর কাছ থেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা পায় বাংলা। কিন্তু পাইনি। তাই আমাদের যা আছে তা দিয়ে করছিয। আমরা ভিক্ষা চাই না। এটা মানুষের অধিকার।” তাঁর দাবি, “গত তিন বছরে ৬৯টি টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্র। যা চেয়েছে তাই দিয়েছি। তাও কোনও লাভ হয়নি।”