Health Department: Bengal health dept issues SOP restricting private practice for govt doctors while on duty

Health Department: সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানল রাজ্য! জারি নির্দেশিকা

আরজি কর পর্বে দেখা গিয়েছিল, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক কলকাতায় এসে প্রতিবাদে সামিল। শুধু তা নয়, তিনি কলকাতায় প্র্যাকটিসও করেন। আবার এও আকছার দেখা যায় যে এসএসকেএম বা আরজি কর মেডিকেল কলেজের অনেক চিকিৎসক দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় গিয়ে সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন চেম্বার করেন।

কিন্তু সোমবার নবান্ন পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল এডুকেশন বা হেল্থ সার্ভিসে কর্মরত কোনও চিকিৎসক তাঁর কর্মস্থল থেকে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে গিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। অর্থাৎ কলকাতার কোনও মেডিকেল কলেজের টিচিং ফ্যাকালটি বা ডাক্তারবাবু শহর থেকে ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরে গিয়ে চেম্বার করতে পারবেন না। কিংবা কোনও বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।

নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ঘড়ি ধরে টানা আট ঘন্টা হাসপাতালে কাজ করতেই হবে। সকাল নটা থেকে বিকেল চারটে পযর্ন্ত কোনওভাবেই করা যাবে না প্রাইভট প্র্যাকটিস। সোমবার একটি সরকারি আদেশনামা জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য শুধুমাত্র নন-প্র্যাকিটিসিং অ্যালাওয়েন্স না-নিলেই চলবে না, এবার থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য–শিক্ষা অধিকর্তার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)–ও নিতে হবে সরকারি ডাক্তারদের। সবচেয়ে বড় কথা, তারই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও এককাঠি ওপরের কড়াকড়ি— কর্মক্ষেত্রের ২০ কিলোমিটারের বাইরে করা যাবে না প্রাইভেট প্র্যাকটিস। অর্থাৎ, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে চাকরি করে কলকাতা-সহ সংলগ্ন প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না।

গত সপ্তাহেই সরকারি চিকিৎসকরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না বলে আদেশনামা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। তাতে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক চিকিৎসককে সপ্তাহে ন্যূনতম ৬ দিন এবং ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। আরও বলা হয়েছিল, রাতে অন–কল ডিউটিতে কোনও চিকিৎসক থাকলে তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। এমনকী, একই ইউনিটে দুজনের বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক একসঙ্গে ছুটি নিতে পারবেন না এবং রোজ রাতে বিভিন্ন বিভাগের কোনও না কোন শিক্ষক-চিকিৎসককে থাকতে হবে ডিউটিতে। যথেচ্ছ প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানতেই রস্টার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর সোমবার এল আরও কড়া নির্দেশ। এর ফলে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলায় কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের অধিকাংশই নন–প্র্যাকটিসিং অ্যালাউয়্যান্স না–নিলেও কার্যত আর প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন না।

এমন নয় যে এই নিয়ম নতুন। বাম জমানা থেকেই এই নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহু ডাক্তার প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। সরকারি হাসপাতালে যতটা সময় দেওয়ার কথা অনেকেই তা দেন না বা ফাঁকিবাজি করেন বলেও অভিযোগ। প্রথামতো নবান্ন পুরনো বিজ্ঞপ্তি ফের প্রকাশ করেছে। বলা যেতে পারে, পুরনো নিয়ম পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে।