মঞ্চে বসে রয়েছেন এক BJP বিধায়ক। আচমকাই সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে চড় মারলেন এক কৃষক নেতা। এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এমনই এক ভিডিও।যদিও ওই বিজেপি বিধায়কের দাবি, ওই নেতা তাঁর পূর্বপরিচিত, তাঁর ‘কাকা’র মতো। তিনি ওই চড় মেরেছেন সস্নেহে।
জানা গিয়েছে ঘটনাটি দিন তিনেক আগের। উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক পঙ্কজ গুপ্ত তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সামনে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত। এই সময় লাঠি হাতে সেখানে উপস্থিত হন ছত্রপাল নামের ওই প্রবীণ কৃষক নেতা। বিধায়ক ভেবেছিলেন তাঁকে কিছু বলার জন্য বৃদ্ধ মঞ্চে এসেছেন। কিন্তু বিধায়ক উঠে দাঁড়াতেই বৃদ্ধ সপাটে একটা ‘চড়’ কষালেন তাঁর গালে!
ভিড়ে ঠাসা সভায় আচমকা এমন ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে যান বিধায়ক। অস্বস্তিতে পড়েন আয়োজকরা। তড়িঘড়ি কয়েক জনকে মঞ্চে উঠে আসেন। বৃদ্ধকে জোর করে মঞ্চ থেকে নামিয়েও দেন তাঁরা। মাত্র ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপিং। আর সেই ভিডিয়োই এখন ভাইরাল উত্তরপ্রদেশে। এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই ময়দানে বিরোধীরা। এবং ভোটের আগে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি।
A video of Pankaj Gupta , a @BJP4UP MLA from Unnao in UP purportedly being ‘slapped’ by a farmer during a recent public meeting has gone viral …incident reportedly 3 days ago … reasons unclear … however now there has been a patch-up… in a new video (in next tweet) pic.twitter.com/GDzfUXjuky
— Alok Pandey (@alok_pandey) January 7, 2022
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের রাস্তায় প্রায় ২০ মিনিট আটকে রইল মোদীর কনভয়, কংগ্রেস সরকারের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধ এক জন কৃষক। কিন্তু কেন তিনি এ কাজ করলেন সেই রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি। কারও প্ররোচনায় এ কাজ করেছেন কি না সে বিষয়েও কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
এই ঘটনা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, “কৃষক নেতা বিজেপি বিধায়কের গালে চড় মেরেছেন। এটা আসলে ওই বিধায়কের গালে নয়, চড়টা পড়েছে বিজেপি পরিচালিত যোগী সরকারের ব্যর্থ প্রশাসনের গালে। তাঁর সরকারের নীতি এবং একনায়কতন্ত্রের গালে।”
বিরোধীরা যখন ঘটনাটি নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে, তখন আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই বৃদ্ধকেই পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিধায়ক পঙ্কজ গুপ্ত। সেখানে বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন, বিরোধীরা যেটাকে চড় বলে প্রমাণ করতে চাইছেন তা একাবেরেই রাজনৈতিক স্বার্থে করা হচ্ছে। বিধায়কের কথায়, “বিরোধীরা প্রমাণ করতে চাইছে যে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। ওই বৃদ্ধ আমার বাবার মতো। এর আগেও এ ভাবে আমার গাল চাপড়ে দিয়েছেন স্নেহের বশে।”
কিন্তু বৃদ্ধ কী বললেন? সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনি তো দাবি করছেন ওটা একটা স্নেহের নিদর্শন। কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেল না?” তখন বৃদ্ধ বলেন, “আমি বিধায়ককে মারিনি। ওঁর কাছে গিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম।”
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী কনভয়ের সামনে বিজেপি সমর্থকরা, ভিডিও সামনে আসতেই আসরে কংগ্রেস