মেয়ে স্মার্টফোনে আসক্ত। ‘শাস্তি’ দিতে তাকে বারবার ধর্ষণ (Rape) করল বাবা! এমন এক ভয়ংকর ঘটনায় চাঞ্চল্য বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam)। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত। তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা কন্যা বেশি সময় কাটাত ফোনে। এই রাগেই নাকি ৪২ বছরের বাবা তাকে একাধিক বার যৌন নির্যাতন করেন। যদিও ভয়ে ও লজ্জায় প্রথমে মুখ খুলতে পারেনি নাবালিকা। পরে এক শিক্ষককে সব খুলে বলে সে। সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষক। তিনি তৎক্ষণাৎ ডেকে পাঠান অভিযুক্ত বাবাকে।
ওই শিক্ষকের দাবি, প্রৌঢ় স্বীকারও করে নেন যে তিনিই মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন। কৃতকর্মের জন্য তাঁর কাছে ক্ষমাও চান। অবশ্য গত শনিবার নাবালিকাকে নিয়ে থানায় যান শিক্ষক। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে।
এ দিকে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, বছর দুই আগে অভিযুক্তের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তখন স্ত্রী তাঁকে কিডনি দান করেন। কিন্তু এর পর স্ত্রী নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর স্বামী তাঁকে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়ি। মেয়ে থাকত বাবার কাছে। আর তার পর দিনের পর দিন মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন জন্মদাতা!
মাত্র কয়েকদিন আগেই মুম্বইয়ের এক কিশোরীও একই অভিযোগ করেছে। সে জানিয়েছে, একবার নয়, টানা দু’বছর ধরে বারবার তাকে ধর্ষণ করেছে তার বাবা ও বড়দাদা। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে জেরা করেছে। জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ স্বীকারও করেছে তারা।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা, মৃত বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ৭ ডাক্তারি পড়ুয়া