২০০ কেজি সোনা দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআনের কপির দেখা মিলল দুবাইয় এক্সপো ২০২০ – তে। ২৪ জানুয়ারি থেকে পাকিস্তান প্যাভিলিয়নে শিল্পী শাহিদ রাসামের তৈরি কোরআনের একটি অংশ প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দুবাইয়ে চলছে ছয় মাস ধরে চলছে ‘এক্সপো’। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ সেখানে নিজস্ব ঐতিহ্যে সাজিয়েছে তাদের প্যাভিলিয়ন। গত সোমবার সেখানকার পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নে উন্মোচন করা হয় পবিত্র কোরআনের বৃহত্তম কপির একটি অংশ। বিষয়টি মেলায় আসা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
উন্মোচন অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আফজাল মাহমুদ, এক্সপো ২০২০-এর কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং কর্পোরেট এক্সিকিউটিভরা।
আরও পড়ুন: আমাজন -এর মাল বোঝাই ট্রেন লুটে নিল ডাকাতরা! লাইনেই ছড়াল ফাঁকা বাক্স, দেখুন ভিডিও
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পবিত্র কোরআন তৈরির কাজটি হাতে নিয়েছেন শাহিদ রাসাম। তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী। তাঁর এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ৫৫০ পৃষ্ঠার এ কোরআনের জন্য প্রায় ২ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম আর ৮০ হাজার অক্ষরের জন্য ২০০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে। ফ্রেম ছাড়া ৬ দশমিক ৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ দশমিক ৫ ফুট প্রস্থের এই বিশাল আকৃতির পবিত্র কোরআনের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১৫০টি অক্ষর বসানো হবে।
পাঁচ বছর আগে শুরু করা দুর্দান্ত এই হস্তশিল্পের কাজটি ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন শাহিদ রাসাম ও তার টিম। পুরো প্রজেক্টের ব্যয়ভার খরচ শহীদ রাসাম অনেকটাই নিজেই বহন করছেন। কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরাও সাহায্য করছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পী। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শহীদ রাসামের কাজ বহুল প্রশংসিত হয়েছে।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Gateway to Hell: নিভে যাচ্ছে দুঃসহ আগুন! অবশেষে বন্ধ হচ্ছে ‘নরকের দরজা’