নির্বাচনের মুখে নতুন করে পারিবারিক বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধু। একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব হলেন তাঁর এনআরআই বোন। শুক্রবার চণ্ডীগড়ে সিধুর মার্কিন নিবাসী বোন সুমন তূর অভিযোগ করেন যে নভজ্যোত সিধু ১৯৮৬ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বৃদ্ধ মাকে ত্যাগ করেছিলেন। সিধুর বোন আরও অভিযোগ করেন, ১৯৮৯ সালে দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে নিঃস্ব হয়ে মারা গিয়েছিলেন সিধুর মা।
অতীতের ঘটনা তুলে ধরে তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমার বাবা মৃত্যুর সময় বাড়ি, পেনশন-সহ সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিধু টাকার লোভে ১৯৮৬-তে আমার অসুস্থ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সিধুর কাছে কোনও টাকা ফেরত চাই না। সত্যিটা জানাতে চাই। আমার মায়ের জন্য সুবিচার চাই। টাকার লোভে আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে সিধু।’’
#WATCH | Chandigarh: Punjab Congress chief Navjot Singh Sidhu's sister from the US, Suman Toor alleges that he abandoned their old-aged mother after the death of their father in 1986 & she later died as a destitute woman at Delhi railway station in 1989.
(Source: Suman Toor) pic.twitter.com/SveEP9YrsD
— ANI (@ANI) January 28, 2022
সংবাদ সম্মেলনে সিধুর বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ করতে করতে অঝোরে কেঁদে ফেলেন সুমন তূর। ধরা গলায় সুমন বলেন যে তাঁর বাবার ভোগ অনুষ্ঠানের পরেই নভজ্যোত তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সিধু মিথ্যা বলেছেন যে তাঁর বাবা-মা আইনি ভাবে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। সিধু তখন তাঁর বয়স ২ বছর বলে দাবি করেন। কিন্তু সেটা মিথ্যে। এই কথা বলতে বলতে সুমন একটি পুরনো পারিবারিক ছবিও মিডিয়াকে দেখান।
সুমন তুরের আরও অভিযোগ, তিনি গত ২০ জানুয়ারি সিধুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিধু দরজা খোলেননি। সিধু তাঁকে ফোনেও ব্লক করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ সুমনের। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার বয়স সত্তর পেরিয়েছে। এই সময় এ সব প্রকাশ্যে আনার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কিন্তু মনে হয়েছিল, সত্যিটা প্রকাশ্যে আসা উচিত। মাকে সুবিচার দিতেই এই বয়সে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।’’
বর্তমানে আমেরিকা নিবাসী সুমনের অভিযোগ, তাঁর ভাই আসলে এক জন নিষ্ঠুর মানুষ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে সমস্ত তথ্য প্রমাণ আমার হাতে আছে।’’
যদিও এই অভিযোগের ব্যাপারে সিধুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ১১৭টি আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় ভোট। তার আগে এই অভিযোগ নতুন করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে পঞ্চনদের দেশে।