গোটা পৃথিবীর আনাচেকানাচে সোনা-রুপোর খনি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। যার সবটির খোঁজ এখনো মানুষ পায়নি। যেগুলো পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সব এখনো পর্যন্ত তোলা সম্ভব হয়নি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের কথাই ধরা যাক। ‘ফোর্বস’-এর এক রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘সোনার খনির ওপর বসে আছে আফগানিস্তান। ’ শুধু সোনা নয়, প্লাটিনাম, রুপো, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ও ইউরেনিয়ামসহ বিভিন্ন ধাতু ও খনিজ পদার্থের বৃহত্তম মজুদের দেশ হওয়ার ক্ষমতা আছে দেশটির। দেশটিতে এত বেশি লিথিয়াম আছে বলে বিশ্বাস করা হয় যে বলা হয়ে থাকে—‘আফগানিস্তান একদিন লিথিয়ামের সৌদি আরব’ হিসেবে পরিচিত হতে পারে। এর খনিজ পদার্থের সম্মিলিত মূল্য আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, সৌদি আরব ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের হিসাব অনুযায়ী ৩২৩.১ টন সোনামজুদ আছে। উল্লেখ্য, এক টন স্বর্ণ প্রায় ৩৫,২৭৪ আউন্সের সমান। এক আউন্স সোনা গ্রামের হিসাবে দাঁড়ায় ২৮.৩৪৯৫ গ্রাম। আর ১১.৬৬ গ্রামে হয় এক ভরি। সে হিসাবে এক আউন্স সোনাকে ভরিতে রূপান্তর করলে তার পরিমাণ হয় ২.৪৩ ভরি। অর্থাৎ এক টন সোনার মানে হল, ৮৫ হাজার ৭১৫.৮২ ভরি। এই হিসাব অনুযায়ী সৌদি আরবে প্রায় দুই কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার ২৫ ভরি সোনার মজুদ আছে।
- লেবানন, যেটি বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে, তাদের কাছেও ২৮৬.৮ টন রয়েছে। ভরি হিসাবে যার পরিমাণ দুই কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮২৮ ভরি।
- উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ায় সোনা মজুদ আছে ১৭৩.৬ টন। ভরি হিসাবে যার পরিমাণ এক কোটি ৪৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৭ ভরি।
- লিবিয়ার কাছে আছে ১১৬.৬ টন, যা ভরির হিসাবে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৬ ভরি।
- ইরাকে সোনার মজুদ আছে ৯৬.৩ টন।
- মিসরে আছে ৮০.৬ টন।
- উপসাগরীয় রাষ্ট্র কুয়েত ও কাতার যথাক্রমে ৭৯ টন এবং ৫৯.৮ টন। জর্ডানে আছে ৫৬.৯ টন।
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে ৫৫.৩ টন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ ফের মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দৌড়ে থাকবেন কমলা, ঘোষণা বাইডেনের
এ ছাড়া ট্রেডিং ইকনোমিকসের তথ্য মতে –
- তুরস্কে সোনার মজুদ আছে ৩৯৩ টন
- উজবেকিস্তানে ৩৮৩.৫০ টন
- ইন্দোনেশিয়ায় ৭৮.৫৭ টন
- ইরাকে ৯৬.৪২ টন
- পাকিস্তানে ৬৪.৬৫ টন
- বাংলাদেশে আছে ১৩.৯৭ টন। ভরি হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় ১১ লাখ ৯৮ হাজার ১০৯ ভরি।
আরও পড়ুন: Samsung Galaxy: স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ৬১টি মডেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা , কিন্তু কেন?