বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা ব্যানার্জি। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতাকেই দলের চেয়ারপার্সন ঘোষণা করলেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনের নীতি মেনেই আজ, বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করে তৃণমূল। জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে এই নির্বাচনে যোগ দিতে এসেছেন নেতারা। যশবন্ত সিনহা, লোকেশ ত্রিপাঠী, রাজেশ ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অশোক তানওয়ারের মতো নেতারাও এদিন যোগ দেন বৈঠকে। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রের মতো নেতারাও।
পাঁচ বছর পর হল তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন এই প্রথম তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছে যেখানে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে আমন্ত্রিত নয় বিজেপি (Mamata Banerjee) । এদিন দুপুর ১২ টা থেকে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: Jago Bangla: ‘এমন রাজ্যপালের দেখা ভূ-ভারতে মিলবে না’, তৃণমূলের মুখপত্রে তীব্র কটাক্ষ ধনখড়কে
নির্বাচিত হওয়ার পরেই মঞ্চ থেকে সকলকে ধন্যবাদ দিলেন মমতা। ব্যাখ্যা দিলেন, কেন তৃণমূলকে সর্বভারতীয় তৃণমূল ঘোষণা করা হল। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস হয়েছিল। পরে অনেক জায়গায় ইউনিট খোলা হয়েছিল। তাই অল ইন্ডিয়া করে দিলাম। কোনও না কোনও জায়গা থেকে একটা দল তৈরি হয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। গুজরাট থেকে বিজেপি। আমাদের অরিজিনাল জায়গা বাংলা।’
এদিন তৃণমূল চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা সাধেন। তিনি বলেন, ‘অনেক লড়াইয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে উঠেছেন। সারা দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে হবে। ৩৪ বছরের সিপিএমকে সরাতে পারলে বিজেপিকেও সরাতে পারব। গায়ের জোরে বিজেপি দেশ চালাচ্ছে। তাই গোটা দেশে তৃণমূলকে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
এর পাশাপাশি বিজেপি ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় গেলেই মারা হচ্ছে। অত্যাচার হচ্ছে। সাংবাদিকরা অবধি ওখানে রেহাই পাচ্ছেন না। বাংলায় এটা নেই। তৃণমূলের আরেক নাম আন্দোলন, সংগ্রাম। তৃণমূল মুখের কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। একটা দল শুধু টাকায় চলছে। কংগ্রেস দল বিজেপির হয়ে মেঘালয় ও চন্ডীগড়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধী দল একসাথে আসুক। কিন্তু কেউ অহংকার করে বসে থাকে তাহলে একলা চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: আমাকে বাংলা ছাড়া করার জন্যই বুদ্ধদেবকে পদ্ম সম্মান! খোঁচা তসলিমার