Lata Mangeshkar passes away on the day Kavi Pradeep was born. They are connected by Ae Mere Watan Ke Logon

Lata Mangeshkar: ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’ – জন্ম-মৃত্যুর সমাপতনে জড়িয়ে গেলেন লতা ও কবি প্রদীপ

ভারত-চিন যুদ্ধে শহিদ হওয়া সেনাদের‌‌‌‌‌ পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান। দিল্লির জাতীয় স্টেডিয়ামে লতা মঙ্গেশকর গাইছেন ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কি লোগো’ গানটি। তাঁর এই গান শুনে কেঁদেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু স্বয়ং। ভারত-চিন যুদ্ধের আবহে রচিত সেই গানই এখন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের আরেক সুর হয়ে উঠেছে।

১৯৬২ সালের ইন্দো-চিন যুদ্ধে (Indo-Cino War) শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের স্মরণ করে এই গান রচনা করেছিলেন কবি প্রদীপ। আর সেই দুর্দান্ত গানে প্রাণ দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এক আশ্চর্য সমাপতনে, যে ৬ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিলেন লতা, ১৯১৫ সালে ঠিক সেই একই দিনে জন্মেছিলেন কবি প্রদীপ। ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তাঁর প্রয়াণ ঘটেছিল। অবশ্য জন্ম-মৃত্যুর এই আশ্চর্য অম্লমধুর সমাপতনের আগে, তাঁদের দুজনের যোগ ছিল জাদু সঙ্গীত – ‘অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লোগোঁ’।

১৯১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্ম কবির। প্রয়াণ ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর। কবি হিসেবে কুড়িয়েছেন সুনাম, ১৯৪০ সালে ‘বন্ধন’ ছবিতে জাতীয়তাবাদী গীতকার হিসেবে বলিউডে নতুন পথচলা। নিজের পাঁচ দশকের কেরিয়ারে প্রায় ১,৭০০ গান লেখেন প্রদীপ। ১৯৯৭ সালে তাঁক সম্মানিত করা হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের সেরা সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে।

আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Death: রাজবধূ হতে পারতেন লতা মঙ্গেশকর! ‘তাঁর’ জন্যেই রয়ে গেলেন আজীবন অবিবাহিত

১৯৮৭ সালে, কবি এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, “কেউ আপনাকে দেশপ্রেমিক বানাতে পারে না। এটা আপনার রক্তে রয়েছে। আপনি কী ভাবে এটাকে দেশের সেবা করার জন্য বের করে আনতে পারছেন, সেটাই আপনাকে অন্যের থেকে আলাদা করে তোলে।”

কবির এই গান রচনা নিয়েও রয়েছে চমকপ্রদ তথ্য। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, মুম্বইয়ের মাহিম সৈকতে হাঁটার সময় গানটি লিখেছিলেন কবি। তখন তাঁর কাছে না ছিল কলম অথবা কাগজ। তিনি একজন সহকর্মীর কাছ থেকে একটা কলম ধার নিয়ে সিগারেট প্যাকেটের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে লিখে ফেলেছিলেন এই কালজয়ী গান।

যুদ্ধে শহিদ সেনাদের স্ত্রীদের জন্য তহবিল সংগ্রহে চলচ্চিত্র জগৎ আয়োজিত ১৯৬৩ সালের ২৭ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠানে গানটি গেয়েছিলেন লতা। যা শুনে চোখ জল এসে যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। অনেক খোঁজার পর গায়িকাকে সামনে পেয়ে বলেন, “আমি চাই তুমি তোমার দুই ছোট্ট ভক্তের সঙ্গে দেখা করো”। সে দিনের সেই দুই খুদে আর অন্য কেউ নন, রাজীব এবং সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় লতার।

আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: মেরি আওয়াজ হি পেহেচান হ্যায়… কোকিলকণ্ঠীর সেরা ১০ হিন্দি গানের টুকরো কোলাজ