কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভা গেল তৃণমূলের দখলে। বুধবারই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সাঁইথিয়ার মোট ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। পুরসভার একটি ওয়ার্ডেও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। সব মিলিয়ে বিনা লড়াইয়েই সাঁইথিয়া পুরসভার কর্তৃত্ব গেল তৃণমূলের হাতে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজেও মোটর উপর একই ছবি। বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতেই বিনা লড়াইয়ে জয়ী তৃণমূল।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত দিনহাটার ৭টি ওয়ার্ড জয়ী ঘাসফুল শিবির। সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করে জয়ের আনন্দে মেতেছে শাসক শিবির। বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরভায় মোট ১৬টি ওয়ার্ড। প্রত্যেকটিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ১,৪ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম (CPIM)। তবে বাকি কোনও ওয়ার্ডে আর প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। বিজেপি এবং কংগ্রেস একটি ওয়ার্ডেও প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: সিঁড়ির রেলিং বেয়ে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা, মালদহ হাসপাতালে আছড়ে পড়ে মৃত্যু শিশুর
যদিও এখনও মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি বাকি। প্রার্থী দিতে না পারার কারণ হিসাবে বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব। যদিও কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষ সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই পুরসভায় ব্যাপকভাবে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়ায় ব্যাপক জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত পুরভোটে শুধুমাত্র ৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। বাকি আসনে জয়ের হাসি হাসে ঘাসফুল শিবির।
একের পর এক ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা শাসক দল জিতে যাওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা গণতন্ত্র, যেখানে বিরোধী শূন্য করে দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, একদিকে দেশকে বিরোধী শূন্য করে দিতে চান নরেন্দ্র মোদী, আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলেরও একই মনোভাব। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নরেন্দ্র মোদীর মনোভাব নিয়ে চলেন, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।’
আরও পড়ুন: Burdwan: প্রকাশ্যে শুটআউট! লটারির টিকিট বিক্রেতাকে খুন করে টাকা লুট দুষ্কৃতীদের