If hijab is banned, so should be all religious symbols: Netaji kin

শাখা-পলাও নিষিদ্ধ হোক, দাবি নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (Karnataka Hijab Row) ধর্মীয় চিহ্ন বহনকারী হিজাব পরে কেন ছাত্রীরা আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ৷ এই হিজাব বিরোধীদের একহাত নিলেন চন্দ্র বসু৷ হিন্দু মেয়েদের শাখা-পলা, সিঁদুর পরার প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা হিন্দুত্ববাদীদের দিকে আক্রমণ শানালেন তিনি৷বুধবার চন্দ্র বসু (Chandra Kumar Bose) টুইটে লেখেন, যদি হিজাব নিষিদ্ধ হয় তাহলে শাখা-পলা, সিঁদুর, পাগড়ি, সব রকমের ধাগাও নিষিদ্ধ করা হোক৷ তবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র এই হিজাব বিতর্কের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির গন্ধ পেয়েছেন৷ তাঁর মতে, ভোটে জিততে ধর্মীয় মেরুকরণ রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।

হিজাব নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। অথচ এটি বিতর্কিত কোনও ইস্যুই নয়। কিন্তু বিদ্বেষীদের সৌজন্য এটি এখন জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্টে৷ এদিনই সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে৷ ওই বেঞ্চই ঠিক করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের হিজাব পরাটা কতটা যুক্তিযুক্ত৷ লক্ষ্যণীয় ভাবে, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ঠিক মুখে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে হঠাৎ করে স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ অথচ এতদিন হিজাব পরে দিব্যি স্কাস করছিল পড়ুয়ারা৷

চন্দ্র বসুর মনে করছেন বিষয়টা আদৌ হিজাব নয়৷ যে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতান্ত্রিকতা ও গণতান্ত্রিকতা দেশের নাগরিকদের ন্যায়, সমতা, স্বাধীনতার আশ্বাস দেয় এবং সৌভ্রাতৃত্বের প্রচার করে তাকে ধ্বংস করা৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, গেরুয়া হল ত্যাগের প্রতীক৷ তাই গেরুয়াকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ হোক৷ গেরুয়া দলগুলিকে তাঁর খোঁচা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহার করে সেগুলিও নিষিদ্ধ করা দরকার৷