তৃণমূল কংগ্রেসে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে আকচা–আকচি চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বয়ং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদ ছাড়তে চান বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই কথা তিনি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, আর দু’একদিনের মধ্যে এই কথা তিনি নিজেই জানাবেন বলে খবর।
কী বলবেন তা জানা নেই। কিন্তু ইঙ্গিত স্পষ্ট। যদিও এদিনও গোয়ায় তিনি প্রচার করেছেন। বিজেপি ও কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী করার আহ্বান জানান। তবে এদিন অভিষেক যাঁদের সঙ্গে গোয়া থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তাতে তাঁর অভিমানী মনোভাব স্পষ্ট। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তৃণমূলের অভ্যন্তরে সম্প্রতি যে চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে এবং পুরভোটের প্রার্থীতালিকা ঘিরে যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সামনে এসেছে, তার পরিণতিতেই এই পরিস্থিতি বলে খবর।
আরও পড়ুন: Kolkata Police : কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে লুকিয়ে বিপদ! খোয়াতে পারেন সর্বস্ব!
দলের একাংশে আবার জল্পনা, অভিষেক ‘পাল্টা চাপ’ দিতে চাইছেন। এবং সেটা তিনি করতে চাইছেন পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে। যদিও অভিষেকের ঘনিষ্ঠ এক নেতা শুক্রবার বলেছেন, ‘‘এর মধ্যে পাল্টা চাপের রাজনীতির কোনও প্রশ্নই নেই। অভিষেক মনে করছেন, তিনি যা করতে চাইছেন, তা করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে পদ আঁকড়ে থেকে কি কোনও লাভ আছে! তার চেয়ে সাংসদ হিসেবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য কাজ করাই ভাল।’’
অভিষেকের ঘনিষ্ঠরা অবশ্য স্পষ্টই বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে তাঁর তীব্র অভিমান হয়েছে। অবস্থা সাপেক্ষে অভিষেক সম্ভবত ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ’ হিসেবেই থাকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। গোয়া থেকে নিজের কিছু ঘনিষ্ঠকে অভিষেক এমনও জানিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতে চান। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাওয়া ছাড়া তাঁর কাছে আর কোনও বিকল্প আপাতত নেই। তবে সেটা তিনি করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ‘পূর্ণ আস্থা’ রেখেই। ঘনিষ্ঠরা অভিষেককে তাঁর সিদ্ধান্ত পুর্নর্বিবেচনা করতে বললেও এখনও পর্যন্ত তিনি অনড় বলেই খবর।
আরও পড়ুন: #OnePersonOnePost: মমতার ডাকে শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক, শীর্ষ নেতাদের থাকতে নির্দেশ