মহান আল্লাহর বড়ত্ব ও মহিমা বর্ণনার সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম শব্দ আল্লাহু আকবার। এই শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে মুমিন বান্দা তার প্রভুর প্রতি বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটান এবং রবের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যে মুমিনের অন্তরে তাকবিরের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব যত বেশি হবে, তার ঈমানের প্রভাব তত বেশি প্রতিফলিত হবে। তাই ইসলামী শরিয়তে আজান ও নামাজের পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন সময় ও জীবনঘনিষ্ঠ নানা অনুষঙ্গে তাকবির পাঠের বিশেষ নির্দেশ রয়েছে।
নামাজে তাকবির : আজানের মধ্যে তাকবির বলতে হয়। ঈমানের পর সবচেয়ে যে হুকুম নামাজ। সেই নামাজ শুরু হয় তাকবির তথা আল্লাহু আকবর দিয়ে। তেমনি নবজাতকের কানে তাকবির বলা। মৃত ব্যক্তির জন্য জানাজায় তাকবির বলা ইসলামের বিধান।
চাঁদ দেখে তাকবির : প্রতি মাসে যখন আকাশে নতুন চাঁদ উদিত হয়, তখন তা দেখে তাকবির বলা সুন্নত। নবী (সা.) নতুন চাঁদ দেখার পর বলতেন—(উচ্চারণ) ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামী, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। ’ অর্থ : ‘আল্লাহ মহান; হে আল্লাহ, আমাদের জন্য চাঁদটিকে বরকতময় (নিরাপদ), ঈমান, নিরাপত্তা ও শান্তির বাহন করে উদিত করুন। হে নতুন চাঁদ, আল্লাহ তাআলা আমারো প্রভু, তোমারো প্রভু। ’ (সুনানে দারিমি, হাদিস : ১৭২৯)
আরও পড়ুন: Concept of Rizq (Sustenance): জানুন রিজিক কমবেশি কেন হয়?
সফরে তাকবির বলা : রাসুল (সা.) যখন বাহনে আরোহণ করতেন, তখন তিনি আল্লাহু আকবার বলতেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩১৬৬)
আগুন নেভাতে : কোথাও যদি কোনো আগুন লেগে যায় তখন সজোরে আল্লাহু আকবার বলা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো জায়গায় আগুন লেগে গেছে দেখো, তখন ‘আল্লাহ আকবার’ বলতে থাকো। কেননা তাকবির আগুন নেভাতে সহায়ক হয়। ’ (আমালুল ইওয়ামি ওয়াল লাইলি, হাদিস : ২৮৯)
আল্লাহু আকবার ‘শাআইরে ইসলাম’-এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি এর মর্যাদা রক্ষা করবে সে সব ধরনের গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবে।
আরও পড়ুন: Rajab 2022: রমজানের প্রস্তুতি শুরু করুন রজব মাস থেকেই, জানুন কোন আমল খুবই জরুরি