ABG Shipyard, its directors booked by CBI in Rs 22,842-cr bank fraud case

ABG Shipyard: ২ হাজার ৮৪২ কোটি! দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক জালিয়াতি মোদীর রাজ্যের

দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে গতকাল। মোদীর রাজ্য গুজরাটের (Gujarat) এবিজি শিপইয়ার্ডের (ABG Shipyard) বিরুদ্ধে ২৮টি ব্যাংকের মোট ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সিবিআই (CBI) মামলা রুজু করেছে জাহাজ নির্মাণ সংস্থার তিন কর্ণধার ঋষি অগরওয়াল, সন্থানম মুথুস্বামী ও অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে।

এবিজি শিপইয়ার্ড এবিজি গ্রুপের অন্যতম সংস্থা। জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ মেরামতির সঙ্গে জড়িত। গুজরাটের দহেজ এবং সুরাটে তাদের কারখানা আছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)-সহ সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে তারা মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিল। জানা যায়, ব্যাঙ্কের তরফে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৯ সালের নভেম্বরে। পরের বছর মার্চে সিবিআই কিছু ব্যখ্যা চায়। ওই বছরই অগস্টে নতুন করে অভিযোগ জমা হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে খতিয়ে দেখার পরে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইআর দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ ভোটের দিনেই জামিন লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে

এফআইআর-এ সিবিআই উল্লেখ করেছে, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তেরা যোগসাজশ করে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত নানা বেআইনি কাজ করেছেন। পুরোটাই ব্যাঙ্কের তহবিল ভাঙিয়ে বেআইনি ফায়দা করার লক্ষ্যে। হয়েছে তহবিল তছরুপ, তহবিলের অপব্যবহার এবং ঋণের টাকা অন্য উদ্দেশ্যে খরচ করে প্রতিশ্রুতির খেলাপ।

সংস্থাটি স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) থেকে ঋণ নিয়েছে ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, আইডিবিআই (IDBI) ব্যাংক থেকে জাহাজ নির্মাণ সংস্থাটি ঋণ নিয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ব্যাংক অফ বরোদা থেকে, ১ হাজার ২৪৪ কোটি নিয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংক থেকে এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক থেকে নিয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা।

কংগ্রেসের দাবি, ২০১৮ সালেই এবিজি শিপইয়ার্ডের দুর্নীতির বিষয়টি নজরে এনেছিল কংগ্রেস। যদিও সেই কথায় আমল দেয়নি মোদী সরকার। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা (Randeep Surjewala) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করুন, এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাঁচ বছর লেগে কেন! কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৭ সালে গুজরাট সরকার সুরাটের এই জাহাজ নির্মাণ সংস্থাকে ১, ২১, ০০ স্কোয়ার মিটার জমি দিয়েছিল। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।

আরও পড়ুন: হিমালয়ের সাধুর পরামর্শে নিয়োগ ও পদোন্নতি! NSE’র দুই প্রাক্তন শীর্ষ কর্তাকে পাঁচ কোটি জরিমানা