পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। চোখের জলে বাবাকে শেষ বিদায় জানালেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। তার আগে বিধানসভায় প্রয়াত সাধন পাণ্ডেকে (Sadhan Pande) শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন বিরোধী দলের নেতারাও।
গতকাল দুপুর নাগাদ মারা গিয়েছিলেন রাজ্যে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর েথকেই দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে রবিবার দিন ফেসবুক পোস্টে বাবার অবস্থা আশঙ্কা জনক জানিয়েছিলেন। তারপরের দিন সকালেই মারা যান সাধন পাণ্ডে। সোমবার সকালে তাঁর মরদেহ বিমানে মুম্বই েথকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দরেই দীর্ঘদিনের সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন সুজিত বসু, অতিন ঘোষ।বিমানবন্দরে সাধন পাণ্ডেকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শশী পাঁজা, তাপস রায় সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং কর্মী। বিমান বন্দর থেকে সাধন পাণ্ডের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্ক সার্কাসের পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখানে প্রয়াত মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মিমি চক্রবর্তী এবং সোহম চক্রবর্তী।
সেখান থেকে প্রয়াত মন্ত্রীর বাড়ি কাঁকুরগাছিতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। সেখান থেকে তাঁর পৈত্রিক বাড়ি গোয়াবাগান ঘুরে দেহ পৌঁছয় বিধানসভায়। সর্বক্ষণই দেহের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সুজিত বসু, অতীন ঘোষদের। বিধানসভায় প্রয়াত বিধায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধায়করা। ছিলেন সব্যসাচী দত্তও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বিধান সভা থেকে প্রয়াত নেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানে। সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুস্প স্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত নেতাকে।
সাধন পাণ্ডে ছিলেন রাজ্য রাজনীতির সেই বিরল ঘরানার নেতা, যাঁরা পার্টিলাইনের তোয়াক্কা না করে সোজা কথা সোজা করে বলতে পারেন। মূলত উত্তর কলকাতা কেন্দ্রিক রাজনীতি করলেও কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে তাঁর প্রভাব ছিল ঈর্ষণীয়। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের টিকিটে মোট ৯ বার বিধানসভা ভোটে লড়েছেন সাধনবাবু। বিধানসভা ভোটে একবারও তাঁকে হারের মুখ দেখতে হয়নি।