তবে কি পুলিশ মারেনি আনিশকে (SIT probe over Anish Khan Death)? পুলিশকে দেখে পালানোর সময় রেইন পাইপ থেকে হাত ফস্কে মৃত্যু হয় তাঁর ? এই তথ্যই উঠে আসছে বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্তে (Anish Khan fells down and died)।
ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেড়া ও কনস্টেবল প্রীতম ভট্টাচার্যকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাঁদের জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । ওই দুই পুলিশকর্মীর জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনার দিন, অর্থাৎ গত শুক্রবার রাতে আনিশের বাড়ির ছাদে উঠেছিলেন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্রাচার্য । পুলিশি জেরাতে তাঁরা তা স্বীকারও করেছেন ।
সিট সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি আপত্তিকর পোস্ট করেছিলেন আনিস। সেই পোস্ট কেন এবং কী জন্য করা হয়েছে, শুক্রবারই তার খোঁজখবর করতে বলা হয় আমতা থানাকে। দুই কর্তার থেকে বিষয়টি খতিয়ে নির্দেশ পেয়ে থানার ওসি ফোন করেন টহলদারিতে থাকা আরটি ভ্যানের কর্তব্যরত অফিসারকে।
গাড়িতে ছিলেন এক এএসআই। ছিলেন হোমগার্ড এবং কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। জেরায় ফোন আসার বিষয়টি সিট কর্তাদের জানিয়েছেন ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক। ধৃতদের দাবি, আনিসের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে থানায় তুলে আনার নির্দেশ এসেছিল ওই টেলিফোনে।
সিট সূত্রে খবর, কোনওরকম নোটিস ছাড়া কীভাবে তাঁরা ওই রাতে আনিসের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ধৃতরা। বরং সত্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, পুলিসকর্মী, হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় তিনটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ওয়ারেন্টে কীভাবে পুলিশ পৌঁছল ও বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করল ? যিনি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর বাবাকে দাঁড় করিয়ে রাখলেন, তাঁকে কে নির্দেশ দিল ঘটনাস্থলে বিনা প্ররোচনাতে আগ্নেয়াস্ত্র বের করতে । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোন আইনের জোরে উচ্চ পদস্থ দুই পুলিশ কর্তার ফোনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছল । এগুলোর উত্তর এখনও অধরা ।
মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে তাঁকে তুলে হাসপাতালে কেন নিয়ে যাওয়া হল না এবং আগ্নেয়াস্ত্র ধরে পুলিশের পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ অফিসারকে স্যার সম্বোধন করে ‘স্যার কাজ হয়ে গিয়েছে’ এই মন্তব্য কেন করা হল, এখনও তার কোনও সদুত্তর নেই সিটের কর্তাদের কাছে । সিট সূত্রে খবর, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের ।