শিবরাত্রি অর্থাত্ শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত যে রাত। এটি আসলে হর ও পার্বতীর মিলন উত্সব। ২ মার্চ রাত ১২টা ৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত চলবে নিশিতা কাল। আপনি বিবাহিত হলে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে বসে মহাশিবরাত্রির পুজো সম্পন্ন করুন। অবিবাহিতরাও এই পুজো করতে পারেন। মনে করা হয় অবিবাহিতা মহিলারা শিবরাত্রি পালন করলে মহাদেবের মতো স্বামী লাভ করেন।
ঘরে বসেই মহাশিবরাত্রি পালন করতে হলে বাড়িতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করা জরুরি। শিবলিঙ্গটি একটি প্লেটের ওপর রাখুন। শিবলিঙ্গের পাশে অবশ্যই গণেশের একটি মূর্তি রাখবেন। স্নান করে হলুদ রঙের বস্ত্র পরিধান করুন। শিবরাত্রির জন্য হলুদ পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয়। মহাদেবের পায়ে বেলপাতার অর্ঘ্য দিন। বাড়িতে কাঁচা দুধ, গঙ্গাজল, দেশি ঘি এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে পঞ্চামৃত বানিয়ে নিন। শিবের মাথায় এই পঞ্চামৃত ঢেলে নিজের মনের বাসনা প্রকাশ করুন।
মহাদেবকে ভোগ অর্পণ করার জন্য বাড়িতে ক্ষীর বা অন্য কোনও মিষ্টি বানিয়ে নিতে পারেন। বাড়িতে বানাতে না পারলে দোকান থেকেও মিষ্টি কিনে এনে পুজো করা সম্ভব। যদি আপনি শিবরাত্রিতে উপবাস রাখার মনস্থির করেন, তাহলে সকালে পুজো করার সময়ই উপবাসের সংকল্প করে নিন। শিবলিঙ্গের রুদ্র অভিষেক সম্পন্ন করার পর ‘ওম নমহঃ শিবায়’ মন্ত্র বা মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করুন। পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মহাদেবের আরতি করুন।
পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেবকে প্রণাম করে বাড়ির বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করুন। সবার মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করুন। পুজো করার সময় আপনার জীবনে যা কিছু ভুলচুক করেছেন, সে সবের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিন। মন্দিরে গিয়ে পুজো করলে বাড়িতে পঞ্চামৃত ও প্রসাদ নিয়ে যায়। বাড়ির মহাদেবকে পঞ্চামৃত অর্পণ করুন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রসাদ দিন।