বড়দের ওষুধের বিষয়ে বারবার সাবধান করে দেন চিকিৎসক। বলাই হয়— ‘বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখবেন।’ তারপরেও দেখা যায় গাফিলতি। আর তার ফলেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটল বিহারের খাগাড়িয়ার এক পরিবারে। আসলে ওই দম্পতি এমন জায়গায় যৌনশক্তিবর্ধনক ওষুধটি রেখেছিলেন, যেখানে পাঁচ বছরের ছেলের হাত পৌঁছয়। দম্পতি নিশ্চয়ই ভাবেননি সেই ওষুধকেই চকোলেট ভেবে খেয়ে নেবে ছেলে। যদিও তা-ই ঘটে। ঝলমলে রঙিন মোড়কের ওষুধকে চকোলেট ভেবে খেয়ে ফেলে শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।
কিছু ক্ষণ পরই তার শরীরে অস্বস্তি হতে শুরু করে। প্রচণ্ড ঘাম এবং থরথর করে কাঁপছিল ছেলেটি। হঠাৎ ছেলের অস্বাভাবিকতা চোখে পড়তে ঘাবড়ে যান দম্পতি। তখনও তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না কেন এমনটা হল। দম্পতির হঠাৎ চোখ যায় মেঝেতে পড়ে থাকা যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধের পাতার দিকে। চারটি ওষুধই গায়েব! কী সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি দম্পতির। এর পরই তাঁরা ছেলেকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে পৌঁছন। চিকিৎসককে সব কথা খুলে বলেন। চিকিৎসকও এমন ঘটনার কথা শুনে চমকে ওঠেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন না এই ধরনের ঘটনায় কী চিকিৎসা করা উচিত। বিশেষ করে যেখানে একটি পাঁচ বছরের শিশুর বিষয় জড়িয়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই চিকিৎসক পটনা এমস-এ তাঁর বন্ধু শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
চিকিৎসক বন্ধুকে ওই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কী চিকিৎসা হওয়া উচিত তাঁর জানা নেই। কিন্তু উপায় তো একটা বার করতেই হবে। তা না হলে শিশুটির জীবন বিপন্ন হতে পারে। তখন তিনি চিকিৎসক বন্ধুকে পরামর্শ দেন শিশুটিকে যে ভাবেই হোক বমি করাতে হবে।
সেই পরামর্শ মতো শিশুটিকে নুনগোলা জল খাওয়ানো হয়। তার পর বমি করানো হয়। তার পর ধীরে ধীরে শিশুটি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তার পর তাঁর চিকিৎসা করা হয়। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খাগাড়িয়ার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কোনও শিশু যৌনবর্ধক ওষুধ খেয়ে নিলে তা-ও আবার চারটি, সে ক্ষেত্রে শিশুর রক্তচাপ, হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যাবে। এমনকি জীবনও বিপন্ন হতে পারে।