We gave food to the children, you did not - when the mayor spoke to Jyotiraditya Scindia in Romania

আটকে থাকা ছাত্র ফেরানো নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে তিরস্কার রোমানিয়ার মেয়রের

কংগ্রেস নেতারা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটি অংশ কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে একটি ত্রাণ শিবিরে রোমানিয়ার একটি শহরের মেয়র দ্বারা তিরস্কার করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

রোমানিয়ায় আশ্রয় পাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের সামনে স্বভাবসিদ্ধভাবে মন্ত্রী শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের গুনগান। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন রোমানিয়ার মেয়র। এসব কথা ছেড়ে কেন মূল কথায় যাচ্ছেন না মন্ত্রী, সে প্রশ্ন তোলেন মেয়র। মন্ত্রী কেন বলছেন না কবে, কীভাবে তারা দেশে ফেরাচ্ছেন ভারতীয়দের? পাল্টা জ্যোতিরাদিত্য বলেন, তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হোক। এতে আরও রুষ্ট হয়ে রোমানিয়ার মেয়র মন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন, ভারতীয় পড়ুয়াদের খাদ্য, আশ্রয়ের বন্দোবস্ত ভারত সরকার করেনি। বরং করেছে রোমানিয়া সরকার।ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হন মন্ত্রী।

এই ঘটনায় সোশ্যাল সাইটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নানা আওয়াজ উঠেছে। একজন বলেছেন, ‘জুমলারা ভারতে কাজ করতে পারে, কিন্তু বিদেশের মাটিতে নয়। দেখুন কীভাবে রোমানিয়ার মেয়র বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে শিক্ষা দিয়েছেন। উনি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বলেছেন, ওদের বুঝিয়ে বল ওরা কখন বাড়ি থেকে বের হবে। আমি তাদের আশ্রয় এবং খাবার দিয়েছি, আপনি না!ছাত্ররাও হাততালি দেয়!’

উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের শহর সুমিতে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬০০রও বেশি ভারতীয় ছাত্র আটকা পড়েছে, এই আশায় যে তাদের শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হবে কারণ রাশিয়ান বাহিনীর “অবিরাম গুলি ও বোমাবর্ষণ” তাদের সম্পূর্ণ আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাশিয়ান সীমান্তের কাছে অবস্থিত সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির একজনও ভারতীয় ছাত্রকে এখনও পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে আসা এক পড়ুয়া। সে বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষের মেডিকেল কোর্সে পড়াশোনা করছে। তিনি বলেন,”এখানে সুমি ইউনিভার্সিটিতে ৬০০রও বেশি ভারতীয় ছাত্র আটকে আছে। দূতাবাস আমাদেরকে সরিয়ে নেয়নি বা সে বিষয়ে কোনো আশ্বাসও দেয়নি। গত পাঁচ দিন থেকে, শহরে অবিরাম গুলি, শেলিং এবং বোমা হামলা চলছে,।”