নবম দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine Conflict)। এখনও শান্তি ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ইতিমধ্য়েই পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যেই মহাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট নিজেদের দখলে নিল রাশিয়া।
বৃহস্পতিবারই জানা যায়, রুশ ফৌজের দখলে চলে গিয়েছে জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্র। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’-কে (IAEA) রাশিয়া (Russia) জানিয়ে দেয় যে তাদের সেনা ইউক্রেনের জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রের আশপাশের সমস্ত এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় আগুন ধরে গিয়েছে কেন্দ্রের একাংশে। হামলায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। সেখান থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতে পারে, এই আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Ukraine-Russia Conflict: নিরাপত্তা পরিষদে ভোট না দিয়ে রাশিয়ার পাশেই দাঁড়াল চিন -ভারত
পরমাণু কেন্দ্রেগুলিতে রুশ সেনার হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য চাইলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলার জেরে ইউক্রেনের জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গোলাবর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার ওই পরমাণুকেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছে জানিয়ে নেটমাধ্যমে জেলেনস্কির অভিযোগ, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে রুশ সেনা।’
রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কগুলি ‘থার্মাল ইমেজার’ সজ্জিত হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে পরমাণু চুল্লির এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করার মতো বিপজ্জনক কাজ করল সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। নেটমাধ্যমে জেলেনস্কির পোস্টে ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনা এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রসঙ্গেরও উল্লেখ রয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘সমস্ত ইউক্রেনীয়দের জন্য, সমস্ত ইউরোপীয়দের জন্য, সমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা চেরনোবিল শব্দটি জানেন, সেখানে কত জন শিকার হয়েছিলেন জানেন।’ ইউক্রেন সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশে আগুন ধরলেও এখনও সেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
আরও পড়ুন: Ukraine-Russia Conflict: পোলান্ড সীমান্তে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় পড়ুয়া