মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের বৈঠকে একই মঞ্চে থাকলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। কিছুটা দূরত্ব রেখে পাশাপাশি বসতে থাকতে দেখা গিয়েছে।
প্রশান্তের সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। বিশেষ করে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার প্রার্থী ঘোষণার সময় সেই বিভ্রান্তি চরম আকার নেয়। এমনকী, বিভ্রান্তির জেরে তৃণমূলের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে ভ্রান্ত প্রার্থী তালিকা আপলোডও হয়। আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) মতো তৃণমূল নেতারা আই-প্যাকের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখও খুলেছেন।
আরও পড়ুন: Anis Khan: আনিসের মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বললেন ডিজিপি, গ্রেপ্তার ২ পুলিশ -নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
একটা সময় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছিল যে, তৃণমূল এবং আই-প্যাক (I-Pac) একসঙ্গে কাজ করবে কিনা তা নিয়েও লেখালেখি শুরু হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। দাবি করা হয়, দলের সিনিয়র নেতাদের একাংশের সঙ্গে নাকি পিকের সংস্থার বনিবনা হচ্ছে না। বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর সঙ্গে পিকের (PK) টিমের ‘বিবাদ’ নিয়ে প্রচুর কালি খরচ হয়েছে। এমনকী দলনেত্রী নিজে পিকের সংস্থার কাজকর্ম পুরোপুরি পছন্দ করছেন না বলে খবর ছড়ায়।
যদিও বরাবরই জল্পনায় জল ঢেলে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) দাবি করে এসেছেন, বিচ্ছেদের জল্পনা সমস্তই ভুয়ো খবর।সাক্ষাৎকারে আইপ্যাক (I-PAC) কর্ণধারের দাবি, ”দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বরং খবরগুলি পড়েছি আর হেসেছি। রিপোর্টারদের তো কিছু একটা করতে হবে। তাই মিথ্যে মিথ্যে শিরোনাম তৈরি করে সবই খবর বিক্রির ছক।”
তারপরই এদিনের প্রকাশ্য মঞ্চে পিকে’র উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এদিন নজরুল মঞ্চে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে একদিকে যেমন তৃণমূলের সঙ্গে আই-প্যাকের সম্পর্ক নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটল, অন্যদিকে তেমনই তৃণমূলের অন্দরের যাবতীয় বিভ্রান্তিও দূর হল।
আরও পড়ুন: Jay Prakash Majumdar : যোগ দিয়েই তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে জয়প্রকাশ মজুমদার