৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) ফলপ্রকাশের আগে থেকেই অঙ্কের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে স্নায়ুর লড়াইও। আসলে বিভিন্ন ভোট সমীক্ষক সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষা যাই বলুক, চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে আশা ছাড়তে নারাজ কোনওপক্ষই।
বিজেপি (BJP) পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে ভাল ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর নিয়ে তাঁদের মধ্যেও চাপা উৎকন্ঠা আছে। আবার পাঞ্জাবে যে ফলাফল খুব একটা সুবিধার হবে না, সেটা ঘনিষ্ঠ মহলে মেনে নিচ্ছেন দলের নেতারা। শুধু উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Election 2022) ভাল ফল করার ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত গেরুয়া শিবির। আসলে উত্তরাখণ্ড, গোয়ায় অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই কড়া টক্করের পূর্বাভাস দিয়েছে। কোনও কোনও সমীক্ষায় আবার বিজেপির পরাজয়ের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা রয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে প্রাণ হারালেন আর এক ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়া
এক্সিট পোলে (Exit Poll) সুবিধাজনক জায়গায় না থাকলেও পাঁচ রাজ্যের কোথাও হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। দলের নেতারা বলছেন, বিরোধী শিবিরের মনোবল ভাঙতে এই এক্সিট পোলগুলি করা হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি ৫ রাজ্যের মধ্যে চারটিতেই ভাল ফল করবে তাঁরা।
ইতিমধ্যেই ২০১৭ বিধানসভার মতো ঘোড়া কেনাবেচা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। গোয়ায় পাঠানো হয়েছে পি চিদম্বরম, দীনেশ গুণ্ডুরাও এবং ডি কে শিবকুমারকে। মণিপুরে যাচ্ছেন ভক্তচরণ দাস, টি এস সিংদেও, উত্তরাখণ্ডে যাচ্ছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। পাঞ্জাবে অজয় মাকেন এবং পবন খেরাকে পাঠানো হয়েছে। গোয়া এবং মণিপুর নিয়েই ফলপ্রকাশের পর নেতাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Petrol-Diesel Price: ভোট পর্ব শেষ, একলাফে অনেকটা বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম