Muslim students will go to the Supreme Court in the hijab case, the Union Minister is happy with the decision of the High Court

‘সংবিধানে আস্থা অটুট’, শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে যাবে মুসলিম পড়ুয়ারা, রায়ে খুশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

মঙ্গলবার  হিজাব মামলায় রায় দেয় কর্ণাটক হাইকোর্টে । পড়ুয়াদের আবেদন খারিজ হয়। তবে এতে দমছেন না আবেদনকারীরা। আবেদনকারীদের তরফে তাদের আইনজীবী আনাস তনভির মামলার রাযদানের পরই টুইট করে জানান তারা শীঘ্রই শীর্ষ আদালতে যাবেন । পাশাপাশি প্রাথমিক ভাবে হিজাব মামলায় ‘ধাক্কা’ খেলেও বিচার ব্যবস্থা এবং সংবিধানের প্রতি তাঁর মক্কেলদের আস্থা অটুট রয়েছে বলে জানান তনভির।

এদিন টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘উদুপি হিজাব কাণ্ডে আমার মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করলাম । ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব। ইনশাআল্লাহ আশা করছি এই পড়ুয়ারা হিজাব পরার অধিকার বজায় রেখে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে । এই মেয়েগুলি আদালত এবং সংবিধানের উপর নিজেদের আস্থা এখনও হারায়নি।’

হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। তিনি বলেন, ‘আমি আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। সবার প্রতি আমার আবেদন, রাজ্য এবং দেশকে এগিয়ে যেতে হবে, হাইকোর্টের রায় মেনে নিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। পড়ুয়াদের মূল কাজ পড়াশোনা করা। তাই এইস সমস্ত ছেড়ে তাদের পড়াশোনা করা উচিত এবং একজোট হওয়া উচিত।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বাগত জানালেও হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে রায়কে ‘প্রতারণা’ বলছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে অত্যন্ত হতাশ। হিজাবের ব্যাপারে যে যাই ভাবুক না কেন, এটি কোনও পোশাক সামগ্রীর বিষয় নয়। বিষয় হল একটি মেয়ে কী পরবে বেছে নেওয়ার অধিকার। আদালত মৌলিক অধিকারকে তুলে ধরল না, এটা প্রতারণা।’

গত ১১ ফেব্রুয়ারি, হাই কোর্টের দেওয়ার অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েক জন আবেদনকারী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করতে অসম্মত হয়। জানায়, হাই কোর্টে মামলাটি চলছে। এই অবস্থায় তাতে হস্তক্ষেপের কোনও কারণ নেই।