ঘটনাটি নিন্দনীয়, কিন্তু সরকার এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে। দুর্ঘটনাবশতঃ পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের (Accidental” Missile Firing Into Pakistan) বিষয়ে, মঙ্গলবার সংসদে এমন ব্যাখ্যাই দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পর, ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে যে কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, সেগুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সংসদকে আশ্বস্ত করে রাজনাথ বলেন, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা খুবই নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ। তাছাড়া, আমাদের নিরাপত্তা পদ্ধতি এবং প্রোটোকলগুলিও সর্বোচ্চ মানের এবং কিছু সময় বাদে বাদেই পর্যালোচনা করা হয়। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং সুশৃঙ্খল। তারা এই ধরনের সিস্টেম পরিচালনায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সরকার ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ৪ রাজ্যে জিতেই সঞ্চয়ে কোপ! ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন পিএফের সুদের হার
সূত্রের খবর, গত ৯ মার্চ হরিয়ানার সিরসায় সেনা মহড়া চলাকালীন ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ভারতীয় সেনার একটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মিলন চানু শহরে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ঢুকে আসে। শব্দের তিনগুণ গতি নিয়ে ৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ে শেষে মাটিতে আছড়ে পড়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কোনও ওয়ারহেড না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটেনি।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার প্রতিবাদ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, এই ঘটনায় যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হতে পারত।
এর পরের দিন একটি বিবৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি ঘটনার কথা স্বীকার করে। জানায়, ঘটনাটি ভুল করে ঘটেছিল। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: Gold Rate: সামান্য পতন সোনার দামে, তবুও মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ