নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব করলেন ইউরোপের একাধিক রাজনীতিবিদ। নরওয়ের নোবেল কমিটিকে এই আবেদনটি করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন প্রাক্তন এবং বর্তমান রাজনীতিবিদরা।এই কমিটিকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া মার্চ মাসের ৩১ তারিখ অবধি বাড়ানোর জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপের রুশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা মেনে চলার সুবাদেই কি এই গলাবাজি?
নোবেল কমিটির কাছে জমা দেওয়া এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীয়া ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হোক এবং জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের মানুষদের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হোক।’
শান্তি পুরস্কারের জন্য জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব ঘিরে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ইউরোপীয় নেতাদের এহেন পদক্ষেপ রুশবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, পাঁচবার নাম মনোনীত হওয়ার পরও সত্যাগ্রহের জনক মহাত্মা গান্ধীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এদিকে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন মার্কিন বিদেশ সচিব হেনরি কিসিংগারকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।
কিসিংগারের নির্দেশেই হ্যানয় শহরকে বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুদ্ধবিমান। তাই নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত ও পুরস্কার জয়ীদের কৃতিত্ব নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের একাংশের।এই বছর ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন।অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন নোবেল প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হবে।