ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এ বার চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারই টেলিফোনে দুই রাষ্ট্রপ্রধান কথা বলবেন।শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে যুদ্ধের আবহে তৈরি হওয়া নতুন সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বলে খবর।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ সভায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করেনি চিন। আগামী দিনেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না, শুক্রবারের আলোচনায় তার ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আলোচনা চলাকালীন জিনপিং বলেন, “যুদ্ধে কারও স্বার্থরক্ষা হয় না। শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুই দেশের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতে গড়ানো উচিত নয়।” বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় চিনা প্রেসিডেন্টের উপর রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরি করেছেন বাইডেন। যদিও সেই প্রয়াস কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
#BREAKING: Chinese President Xi Jinping speaks with his U.S. counterpart Joe Biden on China-U.S. relations and issues of common concern via video link. pic.twitter.com/nBI3siLQVg
— People's Daily, China (@PDChina) March 18, 2022
এই বৈঠকের আগে গত সপ্তাহে রোমে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কুটনীতিবিদ ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে সাত ঘণ্টা ধরে আলোচনা চালান মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। আজকের বৈঠকের জমি সেখানেই তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাশিয়াকে মদত দেওয়ার অভিযোগে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। কয়েকদিন আগেই ‘Financial Times’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যেতে চিনের কাছে হাতিয়ার চেয়েছে রাশিয়া। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কিছুটা শুষে নিতে বেজিংয়ের মদত চেয়েছে মস্কো। আগেই জানা গিয়েছিল যে। মাস্টার কার্ড ও ভিসার মতো আর্থিক লেনদেন সংস্থাগুলি রাশিয়ার কাজ বন্ধ করার পর চিনা সিস্টেম ব্যবহার করছে দেশটি। একইসঙ্গে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও চিন বড় বাজার হয়ে উঠতে পারে। ফলে মস্কো-বেজিং বন্ধুত্ব নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।