রামপুরহাট কাণ্ডের পর সরগরম পরিস্থিতি রাজ্য-রাজনীতিতে।এমন গণহত্যার রেশ ছড়িয়েছে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন, ‘এক জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটেছে রামপুরহাটে, একজন দোষীকেও যেন ক্ষমা না করা হয়।’
আজ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee to Visit Bagtui Today) ৷নবান্ন সূত্রে খবর, আজ বেলা ১১ টার দিকে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে বগটুইয়ের উদ্দেশ্যে দেবেন মমমা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রামপুরহাট সার্কিট হাউসের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নামবে কপ্টার । তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে তিনি বগটুই গ্রামে যাবেন । গ্রাম ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সার্কিট হাউসেই প্রশাসনির বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী । বর্তমান পরিস্থিতি ও তদন্তের গতি সম্পর্কে পুলিশের কাছে সবিস্তারে জানতে চাইতে পারেন তিনি । সূত্রের খবর, বগটুই গ্রাম পরিদর্শনের পর রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন তিনি ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারেই বগটুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর প্রথমবার ওই গ্রামে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বেলা ১২টা নাগাদ ওই গ্রামে তিনি পৌঁছবেন। অন্যদিকে এদিন রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল।
এই দলে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, লোকসভার সাংসদ সত্যপাল সিং, দলের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি এবং বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
এদিকে, আজ বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যকে বগটুইয়ের ঘটনার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে বগটুই গ্রামে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে।