ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে আসা যাবে না। আদেশ অমান্য হলেই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে টিসি। এমনই নোটিস নাকি দেওয়া হয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে (Acharya Jagadish Chandra Bose College)। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া’ ট্রাউজার্সের প্রসঙ্গ। নির্দেশ অমান্য করে ছাত্রছাত্রীদের কেউ এমন পোশাক পরে এলে তাঁকে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ (টিসি) দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়। শহরের কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে ‘রিপ্ড জিন্স’-এর তুমুল জনপ্রিয়তা। এই পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও এই নোটিস আদৌ কতটা সত্য সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘অশালীন পোশাক নিষিদ্ধ করার যুক্তি মানা যেতে পারে, কিন্তু রিপ্ড জিন্স নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এমন পোশাক ফতোয়া জারি অযৌক্তিক।’’ তাঁর মতে এই ধরনের নিয়ম তৈরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দে হস্তক্ষেপ করছেন। এই পরিসরে উঠে আসছে পাল্টা যুক্তি। এই ধরনের পোশাক কলেজে অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি করে বলেও অনেকের মত।
দিন কয়েক আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল কর্ণাটক। তার প্রভাব পড়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গাতে। হিন্দুত্ববাদীরা হিজাব ব্যান করার উপর প্রচুর জোর দিয়েছিলেন। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। শালীন পোশাক হিজাব নিয়ে এই রাজনীতি হয়েছে শুধু মাত্র সেটা মুসলিমদের পোশাক বলে। কিন্তু ‘ছেঁড়া জিনস’ – এর ক্ষেত্রে বিষয়টা ঠিক উল্টো। অশালীন এই পোশাক পড়তে না দেওয়ার নির্দেশকে “ফতোয়া”, ‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ” বলে মনে করেছেন হিজাব ব্যান- এর পক্ষে বলা লোকজন।