গরমে হাত-পা-পিঠে ট্যানিংয়ের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ প্রায়শই দেখা যায়। কখনও কখনও ট্যানিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি এবং জ্বালাভাব অনুভব করা যায়। গরমে রোদের তাপে হাত ও মুখে ট্যান পড়লে কীভাবে তা দূর করা যায়, তার ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। ত্বকের পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে ও ত্বককে ফের সতেজ ও জেল্লা ফেরাতে রান্নাঘরের বেশ কিছু উপকরণেই হলে কেল্লাফতে। সহজ উপায়ে স্ক্রাবিং থেকে কুলিং মাস্ক পর্যন্ত এই উপকরণগুলিই বিশেষভাবে কাজে দেবে। ট্যান দূর করতে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে ঘরোয়া উপায়ে কী কী ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন, তা জেনে নিন…
লেবুর রস আর মধুর প্যাক: পাতিলেবুর রস আর মধু এমন পরিমাণে মেশান যাতে বেশ গাঢ় মিশ্রণ তৈরি হয়। মুখে, হাতে-পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণে খানিকটা চিনি মিশিয়ে নিলে স্ক্রাবিংয়ের কাজটাও হয়ে যাবে।
দই আর টোম্যাটোর প্যাক: টোম্যাটোর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড কোমলতা নিশ্চিত করে। টোম্যাটো আর দইয়ের প্যাক মিনিট কুড়ির বেশি রাখবেন না, আর কখনও যদি মনে হয় ত্বকে অস্বস্তি হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তুলে দিন। তার পর বরফঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: BB cream vs CC cream: জেনে নিন আপনার ত্বকের জন্য কোনটা ঠিক?
শসার রস: রোদে পোড়া ত্বকের পুরোনো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে শসার রস দারুণ কার্যকর। শসা কুরে রস বের করে নিন, তার পর তুলো দিয়ে লাগান পোড়া আংশে। সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবু প্রাকৃতি ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।
বেসন আর কাঁচা হলুদের মিশ্রণ: বিশেষ করে ভারতীয় কমপ্লেকশনকে উজ্জ্বলতর করে তুলতে হলুদের জুড়ি নেই। কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে বেসন আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন। দিন সাতেকের মধ্যেই ফারাকটা টের পাবেন।
মধু আর পাকা পেঁপের প্যাক: পেঁপের এনজ়াইম প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, মধু জোগায় আর্দ্রতা। প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন: ট্যান রিমুভ করার পদ্ধতি শুরু করার পর কিন্তু আর রোদ লাগাবেন না। এই সময় ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। রোদ লাগলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। দরকারে ছাতা, টুপি, স্কার্ফ ব্যবহার করুন। বিনিয়োগ করুন খুব ভালো মানের কোনও সানস্ক্রিন লোশনেও।
আরও পড়ুন: মাত্র ২ দিনে দূর করুন পা ফাটার সমস্যা দূর করুন, জেনে নিন ঘরোয়া টোটকা