কর্ণাটক হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তাদের দাবি, ‘ভুল ব্যাখ্যার’ প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার রায় দিয়েছে কর্ণাটক হাই কোর্ট।
এদিন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সেক্রেটারি মহম্মদ ফজলুরাহিম সহ তিনজন সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন। ইসলামিক সংগঠন “সমস্থ কেরল জেম-ইয়েথদুল উলেমা”-ও সুপ্রিম কোর্টে হিজাব মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে। ওই মুসলিম সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, পবিত্র কোরান ও ইসলামিক আইনের ভুল ব্যাখ্যার উপরে ভিত্তি করেই এই রায়দান করা হয়েছে।
পিটিশনারদের তরফে পবিত্র কোরানের ৩১ ও ৫৯ তম আয়াতের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোরান ও মহম্মদের শিক্ষায় বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ পরিবার ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সামনে মহিলাদের মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখা উচিত। মুসলিম মহিলারা জীবনের বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ধরনের কাপড় ব্যবহার করে থাকেন নিজেদের মাথা ও শরীর ঢেকে রাখতে। আধুনিক সময়েও হিজাবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি হিজাব নিয়ে নয়, তা ব্যবহারের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন চাই’, ‘আবদার’ জানিয়ে রাজ্যসভায় কেঁদে ভাসালেন রূপা,কটাক্ষ তৃণমূলের
বলে রাখা ভাল, কর্ণাটক (Karnataka) সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই মর্মে একাধিক মামলা করা হয়েছিল। সরব হয় বিরোধী দলগুলিও।
গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে হিজাব মামলার চূড়ান্ত রায়দান করা হয়। ওই রায়ে বলা হয় যে, ধর্মাচরণের জন্য হিজাব পরা আবশ্যক নয়। কর্নাটক রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাকের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: Gold Rate Today: সপ্তাহের শুরুতেই সস্তা সোনা, জেনে নিন ১০ গ্রাম গোল্ডের রেট