Chief Minister Mamata Banerjee has given jobs to the relatives of those killed in Rampurhat Massacre

Rampurhat Massacre: বগটুই-কাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, নিয়োগপত্র পেলেন ১০ জন

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরে নিহতদের পরিজনকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। কাজে যোগ দিতে এই দশজনের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, জেলাশাসককে তা দেখার নির্দেশ দিলেন তিনি।

গত ১৯ মার্চ রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিজনদের নিজের কোটা থেকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মোতাবেক ১০ জনকে চাকরি দেওয়া হল। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় নিহতদের পরিবারের সদস্যের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। নিয়োগপত্র দেওয়া শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে যাতে নিহতদের আত্মীয়েরা কাজে যোগ দিতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব জেলাশাসকের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ওঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, ডিএম সাহেব একটু দেখে নেবেন। ওঁরা যে দিন যোগ দেবেন, সে দিন ওঁদের সঙ্গে এক জনকে পাঠিয়ে দেবেন। যাতে কোনও ভুলভ্রান্তি না হয়।’’

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘পাড়ায় আমরা’

পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা নিহতদের পরিজনরা পান কি না, তা-ও জেলাশাসককে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যাতে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান, সেটা দেখে নিতে হবে। ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় অনেক নথি নষ্ট হয়েছে, ওঁদের সেগুলোও তৈরি করে দিতে হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ফের বলেন, “চাকরি দিয়ে বা আর্থিক সাহায্য করলে কখনও মানুষ ফিরে আসে না। কিন্তু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রত্যেককে এগিয়ে যেতে হয়।যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা যাতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন সেই জন্যই এই পদক্ষেপ।”

উল্লেখ্য, ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটে (Rampurhat Clash) বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। সেই ঘটনার পরই বগটুইয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন ‘দিদি’কে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন চাকরিপ্রাপক মিহিলাল থেকে শুরু করে বগটুই গ্রামের বহু বাসিন্দা। ওইদিন ঘটনাস্থল থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা করে দেন। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয় আরও ৫ লক্ষ টাকা। সেদিনই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির আশ্বাসও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Accident: টোটো-ডাম্পারে মুখোমুখি ধাক্কা বর্ধমানে, মৃত একই পরিবারের চার জন