is CBI is also investigating the rape of Hanskhali? Public interest litigation filed in the High Court

Hanskhali Rape: এবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তেও CBI? জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বীরভূম গণহত্যা থেকে শুরু করে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন, সব ক্ষেত্রেই মুখ পুড়েছে রাজ্য পুলিশের। এই আবহে এবার হাঁসখালি ধর্ণষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলায় পিআইএল দাখিল করেন অ্যাডভোকেট অনিন্দ্য সুন্দর দাস। হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে তাঁর এই আবেদন। এদিকে এই ঘটনায় আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার দুটি মামলার আবেদনই গ্রহণ করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় সোমবার সকাল থেকেই হাঁসখালিতে বিজেপির ডাকে এখানে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ। সোমবার ওই মৃত নাবালিকার বাড়িতে যাবে আজ বাম-বিজেপি-র মহিলা প্রতিনিধি দল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস।  রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বেনজির জট! এসএসসি, গ্রুপ ডি-সহ ১০টি মামলা থেকে সরল ডিভিশন বেঞ্চ

এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।

শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ সেই প্রশ্নও উঠেছে।

আরও পড়ুন: Price Hike: এক পিস্ পাতিলেবু ১০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা দেড়শো পার! আগুন দামে হতভম্ব ক্রেতারা