শুক্রবার অর্থাৎ ১৫ই এপ্রিল শুরু হচ্ছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। বাঙালি এই উৎসবকে চেনে ১লা বৈশাখ বা নববর্ষ নামে। যাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এইদিন তাঁদের দপ্তরে হয় নূতনখাতা বা হালখাতা পুজো। নূতনখাতা বা হালখাতার মাধ্যমে নতুন বছরের আর্থিক লেনদেনের শুভ সূচনা করা হয়। আর যাঁরা ব্যবসা করেন না, তাঁরা এইদিন ব্যবসায়ীদের দপ্তরে দপ্তরে হালখাতার নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান।
এই হালখাতার পুজোয় সাধারণত লক্ষ্মী এবং গণেশের প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করা হয়। সঙ্গে থাকে হিসাবের পুরনো ও নতুন খাতা। প্রথমে গণেশ এবং তারপর লক্ষ্মী ও বিষ্ণুর পুজো করা হয়। পূজান্তে হিসাবের নতুন খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় সিঁদুর দ্বারা স্বস্তিক এবং লক্ষ্মীপুত্তলিকা আর শ্বেতচন্দন দ্বারা বিষ্ণুপুত্তলিকা অঙ্কন করা হয়। রুপোর টাকায় সিঁদুর মাখিয়ে সেই টাকার ছাপ দিয়ে তারপর লিখতে হয় “শুভ ১লা বৈশাখ, বঙ্গাব্দ-অমুক, ইষ্টদেবতা (ইষ্টদেবতার নাম লিখতে হবে) প্রসাদাৎ এই কারবার করিতেছি”।
আরও পড়ুন: Hindu Shastra: বাড়িতে পুজোর সময় শঙ্খ বাজানোর আগে জেনে নিন নিয়মগুলি
গণেশের ধ্যান –
ওঁ খর্ব্বম্ স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরম্ সুন্দরম্। প্রস্যন্দন্মদগন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।। দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরম্। বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কর্ম্মসু।।
বিষ্ণুর ধ্যান –
ওঁ বিষ্ণুং শরচ্চন্দ্রকোটিসদৃশং শঙ্খং চক্রম্ রথাঙ্গং। গদাম্ভোজং দধতং সিতাব্জনিলয়ং কান্ত্যা জগন্মোহনম্।। আবদ্ধাঙ্গদহারকুণ্ডলমহামৌলিং স্ফুরদকঙ্কণং। শ্রীবৎসাঙ্কমুদারকৌস্তুভধরম্ বন্দে মুনীন্দ্রৈর্স্তুতম্।।
লক্ষ্মীর ধ্যান –
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্য্যাম্যসৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।। গৌরবর্ণাম্ সুরূপাঞ্চ সর্ব্বালঙ্কারভূষিতাম্। রৌক্মপদ্মব্যগ্রকরাম্ বরদাং দক্ষিণেন তু।।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: চটজলদি হবেন কোটিপতি, ঘর সাজান পিতল বা রূপোর মাছ দিয়ে