নাইজেরিয়ার অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। ঘটনাটিতে নাইজেরিয়ার রিভার রাজ্যে। নাইজেরিয়ার টেন সম্পদ রাজ্য কমিশনার গুডলাক ওপিয়া বলেছেন, অবৈধ বাঙ্কারিং সাইটে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
ইয়ুথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার (YEAC)-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ফাইনফেস ডুমনামেনে বলেন, “বেশ কিছু মৃতদেহ মাটিতে পড়েছিল। দেহগুলো আগুনে ঝলসে যাওয়ায় শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। অন্যরা নিজেদের বাঁচানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি করছিল। কয়েক জনকে দেখা যায়, প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডাল ধরে ঝুলছে”।
জানা গিয়েছে, প্রধান তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে তেল ট্যাপ করে অস্থায়ী ট্যাঙ্কে পরিশোধিত করা হত। নাইজেরিয়ায় বেকারত্ব ও দারিদ্রতার জন্য এই অবৈধ তেল শোধন করা একটি আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই ব্যবসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখাকার কৃষিকাজও। ইয়ুথস এন্ড এনভায়রমেন্টাল এডভোকেসি সেন্টার জানিয়েছেন, বেআইনি জ্বালানি কেনার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িও বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। নাইজেরিয়া সরকার জানিয়েছেন, এই অবৈধ তেল শোধনাগার মালিক পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করার প্রতিশ্রূতি দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: Pakistan: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, শপথগ্রহণ আজই
আফ্রিকার সবচেয়ে বড়ো অশোধিত তেল উৎপাদনকারী নাইজেরিয়া। দক্ষিণ অঞ্চলে বেআইনি অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা চলে রমরমিয়ে। কালোবাজারে বিক্রি করার উদ্দেশে পাইপলাইন ভেঙে তেল চুরির ঘটনা ঘটে আকছার। নাইজার ব-দ্বীপ তেল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ নাইজেরিয়া। প্রতিদিন গড়ে ২০ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে সে দেশ।
এর আগেও স্থানীয় ভাবে বাঙ্কারিং নামে পরিচিত পেট্রোপণ্য চুরি ও বেআইনি ভাবে পরিশোধন করতে গিয়ে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশের তেলসম্পদ চুরি বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যেমন নাইজার ব-দ্বীপে বেআইনি শোধনাগারে অভিযান ও সেগুলো ভেঙে ফেলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনী। কিন্তু তার পরেও যা হওয়ার তা হচ্ছেই!
আরও পড়ুন: PoK-তে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান, দেখা করলেন ইমরানের সঙ্গে, ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি