হরিদেবপুরে অটো ভর্তি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৪। সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে পাকড়াও করা হয়েছে তাদের।
শনিবার সকালে হরিদেবপুর থানা সংলগ্ন এলাকার একটি অটো থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি বোমা-সহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি৷ চারদিন ধরে অটোতেই পড়েছিল ওই বিপুল পরিমাণ বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র৷ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়৷ ধৃতরা হল, স্বপন মিত্র, ভৈরব বসু, অজিত দাস, এবং বাবলু দলুই৷ হরিদেবপুর ৪১ পল্লী ক্লাবের পাশে রাখা যে অটো থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয় সেটির মালিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ওরফে বিশু৷ পুলিস জানিয়েছে, বিশ্বজিতের সঙ্গে শত্রুতা ছিল স্বপন এবং ভৈরবের৷ বিশ্বজিৎকে ফাঁসাতে তাঁরা অটোর মধ্যে অস্ত্র রাখার ছক কষে৷ এই কাজে বাবলু এবং অজিত তাঁদের সাহায্য করেন৷ ঘটনার দিন বাবলুই নাইলনের প্লাস্টিকে অস্ত্রগুলি ভরে অটোর ভিতর রেখে দেয়৷ রবিবার সবাইকে আদালতে পেশ করা হবে৷
আরও পড়ুন: Ballygunge: সুব্রতের ধারেকাছে নেই বাবুল! পুরভোটের ৪০ হাজার লিড বেমালুম উধাও তৃণমূলের
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল রাতে দুই সন্দেহভাজন যুবক অটোর মধ্যে বোমা-অস্ত্রগুলি রাখে৷ ওই দুই সন্দেহভাজন হলেন, স্বপন এবং বাবলু৷ গ্যারাজের মধ্যে রাখা অটোতে তাঁরাই অস্ত্রগুলি রেখে পালিয়ে যায়৷ তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, অস্ত্র কেনার টাকা দিয়েছিল ভৈরব৷ ওই টাকা দিয়ে স্বপন বোমা তৈরির সামগ্রী এবং গুলি কেনে৷ বোমা তৈরির সামগ্রী সে তুলে দেয় অজিতের হাতে৷ এছাড়া অজিতের কাছ থেকে আরও কিছু অস্ত্র কেনেন স্বপন৷
জানা গিয়েছে, স্থানীয় মিলনী ক্লাবের পক্ষ থেকে গ্যারাজটি একটি ঋণ আদায়কারী সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল৷ সেই সংস্থার দাবি, কিস্তি শোধ করতে না পারায়, দিন ২০ আগে, অটোটিকে গ্যারাজে এনে রাখা হয়৷ তারপরই সেই অটো থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র৷
আরও পড়ুন: Fire at Tangra: ট্যাংরায় বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন