বেকারত্ব, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠছে বাংলায়। এবার সেই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিকাশ ভবন অভিযান করল বিজেপির (BJP Youth Morcha) যুবমোর্চা সংগঠন। দফায়-দফায় মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় গেরুয়া বাহিনী। সবমিলিয়ে বুধবার দুপুরে বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে। ধ্বস্তাধ্বস্তি এবং জলকামানে কয়েকজন দলীয় কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মঙ্গলবার বিকাশ ভবন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছিল যুব মোর্চা। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। হাজির ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত এবং রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। আগে থেকেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল যুব মোর্চা। তবে পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। মঙ্গলবার সকালেই ইন্দ্রনীল জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়াই হবে মিছিল।
আরও পড়ুন: Ballygunge: বুদ্ধবাবুর পাড়ায় জয়, সায়রা হালিমের ছোঁয়ায় অক্সিজেন পেল CPIM
ঘোষণা মতোই দুপুর থেকেই যুব মোর্চা সমর্থকদের জমায়েত শুরু হয় করুণাময়ীতে। মিছিল শুরু হয় বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। কিন্তু ময়ূখ ভবনের সামনে যেতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে যুব মোর্চা সমর্থকরা। এই সময়ে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। তবে একই সঙ্গে পুলিশ জলকামান চালালে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিন করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলেন পরিকল্পনা ছিল বিজেপির যুবমোর্চার। মিছিলে যোগ দিতে দিল্লি থেকে উড়ে এলেন বিজেপির যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্ব সূর্য। যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এদিনের আন্দোলনেও ফের প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
আরও পড়ুন: Haridevpur Bomb Recovery: হরিদেবপুরে অটো ভর্তি অস্ত্র উদ্ধার, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৪