স্কুলে গরমের ছুটি ১৫ দিনের মতো এগিয়ে এল। সাধারণ ভাবে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রীষ্মাবকাশ শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে। তার বদলে এই বছর তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় ২ মে থেকেই যাতে গরমের ছুটি চালু করে দেওয়া যায় স্কুল শিক্ষা দফতরকে সেই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার নবান্নের রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যেই বলেন, ‘‘স্কুল থেকে ছোটদের ফিরতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তাই আপনারা দেখুন গরমের ছুটি যাতে ২ মে থেকে চালু করে দেওয়া যায়।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাচ্চাদের গরমে সমস্যা হচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছে। অনেক বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দাও।” কতদিন গরমের ছুটি থাকবে, তা নিয়ে শিক্ষা দফতরকে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি জানান, আগামী ১৫-২০ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকতে পারে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পারদ ৪০-এর কোঠায়। অন্যান্য বছরও এরকম তাপমাত্রা থাকে, কিন্তু এবার একেবারে রাজ্যের ১২টা জেলায় তাপপ্রবাহ! সেই উদাহরণ কম। প্রবল গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। চারদিকে শুধু ত্রাহি ত্রাহি রব। হাঁসফাঁস দশা জনজীবনের। গরেমর হাত থেকে বাঁচতে একটু বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আট থেকে আশি।
এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা দাবি জানিয়েছেন, স্কুলগুলির সময় এগিয়ে আনার জন্য। সকালে স্কুলের জন্য। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি, বেসরকারি- সব স্কুলের সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ১ ঘণ্টা কমানো হয়েছে সময়সীমা।
একই পথে হেঁটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদও।নির্দেশিকা জারি করে বুধবার থেকেই ১ ঘন্টা সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকাশ ভবন সোমবার জানিয়েছিল, গরমের কারণে সব স্তরের স্কুলে সকালে ক্লাস শুরু করতে হবে। যদিও কবে থেকে তা হবে, তার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, যদি কোনও স্কুল সকালে ক্লাস শুরু করতে না-পারে, তা হলে গরম থেকে ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাদের। সকালে স্কুল চালু হলেও পড়াশোনায় যাতে ঘাটতি না-হয়, দেখতে হবে সেটাও। তবে এখন আর সে সব কিছুরই প্রয়োজন রইল না। এগিয়ে এল গরমের ছুটি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ডিগ্রি স্বীকৃত নয় ভারতে, মিলবে না চাকরি, সাফ জানাল UGC-AICTE