রামপুরহাট গণহত্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন এক অগ্নিদগ্ধ মহিলা। বগটুই গ্রামের বাসিন্দা অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। আজ, রবিবার মৃত্যু হল আতাহার বিবির (৫০)। শরীরের ২৫ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। টানা ৪০ দিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আতাহার বিবি। এই নিয়ে বগটুই কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। ভাদু খুনের কিছুক্ষণের মধ্যেই বগুটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ‘হিংসা’র আগুনে জ্বলতে থাকে বগটুই। অগিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মহিলা, পুরুষ, শিশু-সহ বেশ কয়েকজনের।
সেদিন বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এই আতাহার বিবিও। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলচিল তাঁর। শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল এই মহিলার। একটানা ৪০ দিন ধরে চলেছে যমে-মানুষে লড়াই। শেষমেশ রবিবার ভোররাতে হাসপাতালে মৃত্যু আতাহার বিবির।
হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ধৃতদের দফায়-দফায় চালানো জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। ফের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ ও তাঁর ভাইপো কিরণ শেখের। ভাদু খুনের বদলা নিতেই বগটুই গ্রামে আগুন? জোরালো এই দাবির সত্যতা যাচাইের চেষ্টায় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই নিহতের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য চাকরি ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।