গত সপ্তাহেই হইহই করে শেষ হল সপ্তাহব্যাপী চলা ২৭ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। উদ্বোধনী অনুস্থান- থেকে শুরু করে বিশেষ কোনও ছবির স্ক্রিনিং এ বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় মুখেদের দেখা গেছে হরদম। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায়নি অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। সম্প্রতি তিনি জানালেন, ‘ঠিক করে’ আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন, তাঁর লেটার বক্সে কার্ড এসেছিল শুধু, আয়োজকদের পক্ষ থেকে না কোনও ফোন, না কোনও এসএমএসও! আমি কোথায় কখন যাব, তা-ও জানি না।’’
টলিউডের একেবারে প্রথম সারির মুখকে এমন ‘দায়সারা’ নিমন্ত্রণ! অবাক হয়েছেন ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষ’ হিসেবে পরিচিত মিমি নিজেও। তবে মিমির দাবি, ২০১৯ থেকেই এই আচরণ শুরু হয়েছে, ২০১৯-এর চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে তাঁর নাম অবধি সঠিক ভাবে বলা হয়নি। কাকতালীয় ভাবে ২০১৯-এর চলচ্চিত্র উৎসবেও চেয়ারম্যান ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। পরিচালকের সঙ্গে এক্সময়ে ঘনিষ্ঠতা ছিল অভিনেত্রীর। পরে তা অবশ্য তিক্ততার মধ্যে দিয়েই শেষ হয়।
মিমির এই ক্ষোভের উত্তর দিলেন পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘এই উৎসব সকলের। কাউকে অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। অভিনেত্রী-সাংসদকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য পরিচালক সুদেষ্ণা রায় নিজে ফোন করেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, উনি ব্যস্ত। এমনকি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সকালে আয়োজকদের পক্ষ থেকেও ওঁর কাছে ফোন যায়। তা হলে উনি অপমানিত কোথায় হলেন?’’
সর্বোপরি রাজ জানান, ১৫ দিনের মাথায় চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। এ রকম একটি বৃহৎ উৎসব আয়োজনের জন্য ১৫ দিন নেহাতই কম বলে দাবি তাঁর। এই অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো সত্যিই সম্ভব হয়নি। এমনকি সব আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে দিন দুয়েক আগে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ বললেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর যদি উদ্যোক্তাদের কোনও আচরণে খারাপ লেগে থাকে, তা হলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’