ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে টাটা স্টিল প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ। তার জেরে প্ল্যান্ট আগুন লেগে যায়। ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সংস্থার আধিকারিদের ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। সকলে মিলে একসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
জামসেদপুরের টাটা স্টিলের যে কারখানায় এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা অত্যন্ত আধুনিক একটি প্ল্য়ান্ট। উৎপাদন ক্ষমতায় অন্যান্য প্ল্যান্টের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। প্রচুর কর্মী এই শাখায় কাজ করেন। শনিবার কাজের সময়ে সকলেই কাজে মগ্ন ছিলেন তাঁরা। এমনই সময়ে ঘটে দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ কানে আসে। তারপরই দাউদাউ আগুন নজরে আসে সকলের। নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। সকলে প্রাণভয়ে কারখানা ছেড়ে পালাতে চান।
#WATCH Jharkhand | A fire broke out in a Coke plant of Tata Steel Factory in Jamshedpur due to an alleged blast in a battery. Five fire tenders at the spot, 2 labourers reportedly injured. pic.twitter.com/Y7cBhVSe1A
— ANI (@ANI) May 7, 2022
আরও পড়ুন: গো-হত্যার অভিযোগে দুই আদিবাসীকে পিটিয়ে খুন
আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। দমকল সূত্রে খবর, ওয়েল্ডিং করে লিকেজ আটকানোর কাজ চলছিল। সেই সময়ই প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে আহত তিন শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এত বড় বিস্ফোরণের (Blast) জেরে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর এমনটাই।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে জামশেদপুরের টাটা স্টিল প্ল্যান্টে একটি বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় সেখানে ১১ জন কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ইন্দোরের দ্বিতল আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, ঝলসে মৃত্যু ৭ জনের, শোকবার্তা শিবরাজের