আলাপ পাবজি খেলতে গিয়ে। সেখান থেকে প্রেম এবং পরে শারীরিক সম্পর্কে উত্তরণ। এ বার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন যুবক। তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে ভবিষ্যতে, এই আশঙ্কার কথা শুনে যুবককে আগাম জামিনও দিয়েছে উচ্চ আদালত।
কৃষ্ণ চৌরাসিয়া পেশায় একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বেলদার যুবতীর আলাপ। এরপর প্রেমের টানেই ২০১৯ সালে মার্চ মাসে ওই তরুণীর বাড়িতে যান কৃষ্ণ। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। কিন্তু,কিছুদিন পরেই কৃষ্ণ জানতে পারেন, ওই যুবতী বিবাহিতা এবং তাঁর একটি সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এদিকে ততদিন কৃষ্ণর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন যুবতীর স্বামীও।
আরও পড়ুন: আমরা করি লক্ষ্মীর ভান্ডার, ওরা করে কুৎসার ভান্ডার: মমতা
এদিকে, ওই তরুণীর স্বামী ‘পরকীয়া’-র সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। অভিযোগ, তিনি কৃষ্ণর বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছিলেন। অন্যদিকে, কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এরপরেই পালটা ধর্ষণ সহ বিভিন্ন ধারায় আগাম জামিনের জন্য আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই যুবক। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর এই আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষ্ণর দাবি, তবে যুবতী যে বিবাহিতা এবং এক সন্তানের মা তা তিনি জানতেন না। পরে প্রেম, শারীরিক সম্পর্কেও জড়ায় দুজন। কিন্তু যুবতী যে বিবাহিত তা জানাজানি হওয়ায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে যুবককে কাঠগড়ায় তুলে পুলিশের দ্বারস্থও হন গৃহবধূ প্রেমিকা। তবে যুবতীর অভিযোগ তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bowbazar: মেট্রোর কাজ চলাকালীন নতুন করে ফাটল, ফের ঘরছাড়া বহু বাসিন্দা