এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের শাড়ির কালেকশন সকলের সামনে এনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন বাড়ির সাড়ে দশখানা আলমাড়ি শাড়িতে থাকে ঠাঁসা। সঙ্গে ফাঁস করেছিলেন দু’লাখ টাকা দামের শাড়িও তাঁর কাছে আছে। ছোটবেলা থেকে মায়ের দেখে কীভাবে শাড়ি পরার শখ জন্মেছিল তাঁর, সেটাও জানিয়েছিলেন নিজের মুখে। এবার তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল একটি জামদানি শাড়ি পরে রাস্তায় বের হয়ে কীভাবে তা খুলে গেলে অপদস্থ হতে হয়েছিল তাঁকে।
বৈশাখী জানিয়েছেন, একটি কমলা রঙের জামদানী শাড়ি, তাঁর বাবাকে উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ‘‘বাবার স্ত্রীর জন্য সেই শাড়িটি দিয়েছিলেন,’’ বলেন বৈশাখী। কিন্তু পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হওয়ায়, শাড়িটি পেয়েছিলেন বৈশাখী। কমলা শাড়িটির রং মনে না ধরলেও, বাবার মন রাখতে পরে বেরিয়েছিলেন পূজোর অষ্টমীর দিন। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়া বেড়াতে। ফেরার সময় দেখেন সব৭াই তাঁর দিকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। তিনিও অবাক হয়ে ভাবছিলেন, ‘আমাকে এত ভালো লাগছে যে সবাই দেখছে!’ বান্ধবীর মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, ‘বৈশাখী সবাই তোকে কেন দেখছে?’
আরও পড়ুন: Saif-Kareena: বাবাকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে তৈমুর! পাহাড়ে করিনা আর ছোট ছেলের সঙ্গে পুরো ‘নবাব’ পরিবার
প্রথমে ভেবেছিলেন, তাঁকে দারুণ দেখাচ্ছে। সে কারণেই এত লোকে তাকাচ্ছে। পরে বোঝেন, পিছন থেকে শাড়ির অনেকটা অংশ খুলে এসেছে! তখনও যে তিনি এত ভাল ভাবে সামলাতে পারতেন না শাড়ি।
গত বছর থেকে বৈশাখী আর শোভনকে নিয়ে চর্চা আরও বেড়েছে! পুজো স্পেশ্যাল একাধিক ফোটো আর ভিডিয়ো শ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর দশমীতে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুরও দেন শোভন। তাঁর আর রত্নার ডিভোর্স না হলেও, বৈশাখী আলাদা হয়ে দগিয়েছেন প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের থেকে।
আরও পড়ুন: জুন থেকে ‘মন ফাগুন’-এর জায়গায় আসছে ‘সাহেবের চিঠি’, ঋষি-পিহু কোন স্লটে জানুন