বিয়ের আট বছর পরও শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অনুমতি দেয়নি স্ত্রী। দাম্পত্য জীবন রয়ে গিয়েছে অপূর্ণ। এই অভিযোগ নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংসদ অভিনব মোহান্তি। একইসঙ্গে করেছিলেন বিবাহবিচ্ছেদের আর্জি। সেই মামলায় এদিন সাব ডিভিশন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ষা প্রিয়দর্শিনীকে স্বামী অনুভব মোহান্তির বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে প্রতিমাসে ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন।
ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ অনুভব ও বর্ষা। পরে অনুভব রাজনীতির ময়দানেও পা রেখে সফল হন। ২০১৪ সালে দারুণ ধুমধাম ও জাঁকজমকের মাধ্যমে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন অনুভব-প্রিয়দর্শিনী। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই রূপকথার ছন্দপতন। স্বপ্নের বিয়ের নোংরা রূপ চলে আসে প্রকাশ্যে।
শোনা যায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ঝামেলা শুরু হয় অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামীর মধ্যে। কোর্টে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন অনুভব। আদালতে তিনি জানান, বিয়ের এতবছর কেটে যাওয়ার পরও তাদের মধ্যে কোনও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি। অনুভবের মতে, স্বাভাবিক কোনও দাম্পত্য সম্পর্ক তাদের মধ্যে নেই। তিনি কোর্টে এও দাবি করেন, বহুভাবে বর্ষার সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে সমস্যা জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা-সঙ্গমের অনুমতি দেননি স্ত্রী। বাধ্য হয়ে হতাশ অনুভবের কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: জল্পনায় ইতি, জানা গেল শাহরুখ-অ্যাটলির নতুন সিনেমার নাম
পাল্টা অভিযোগ করেন বর্ষাও। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে পুলিশ ও ওড়িশা হাইকোর্টে অভিযোগ জানান অভিনেত্রী। স্ত্রী হিসেবে তাঁর অভিযোগ ছিল, অনুভব নেশাড়ু। মদ খেয়ে মাতলামো করার অভিযোগ আনেন অনুভবের স্ত্রী। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, অনুভবের একাধিক অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। একইসঙ্গে বর্ষার সবথেকে গুরুতর অভিযোগ অনুভব তাঁকে মা হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
বিবাহবিচ্ছেদ মামলাটির গত সপ্তাহে শুনানি শেষ হলেও, এখনও পর্যন্ত রায়দানে বিরত রয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: Shovon-Baisakhi: শোভনকে জামাই আদর, গোলপার্কের বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন বৈশাখীর