তুমুল বিশৃঙ্খলার মধ্যে রোদ্দুর রায়কে ছয়দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। রোদ্দুরের আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু জানান, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুরেই রোদ্দূরকে আনা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। আদালতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তাঁর মামলাটি ওঠে। সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, রোদ্দুর যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা মুখে আনারও যোগ্য নয়। তারইমধ্যে , শুনানি চলাকালীন প্রবল হই হট্টগোল হয় এজলাসে, কোর্টরুমের ভিতর বেশ কয়েক বার হাততালিও পড়ে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী দীপঙ্কর। অন্য দিকে রোদ্দূরকে জামিন দেওয়ার প্রসঙ্গে দীপঙ্করের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন রোদ্দূরের আইনজীবীরা। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও ওঠে। সেই পরিস্থিতিতে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে রায়দান স্থগিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Suicide: গৃহকর্তার ছবির সামনে সুইসাইড নোট, ২০ হাজার টাকা, আত্মঘাতী মা-মেয়ে
আদালতে রোদ্দুরের আইনজীবী দাবি করেন, এক্ষেত্রে সঠিকভাবে অভিযোগ দায়ের হয়নি। যাঁর বিরুদ্ধে রোদ্দুর বক্তব্য রেখেছেন, তিনি নিজে কোনও অভিযোগ করেননি। অন্য এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে যাঁর মানহানি হয়েছে, তাঁকেই অভিযোগ করতে হবে। এছাড়াও সংবিধানের বাকস্বাধীনতার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন অভিযুক্তের আইনজীবী। পালটা সরকারি আইনজীবী জানান, সংবিধানে বাকস্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও তার বিধিনিষেধ সম্পর্কেও সচেতন করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করতে পারে এমন কোনও কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা করেছে। সেই কাজটিই করেছেন রোদ্দুর। তারপর বিকেল সাড়ে চারটে রায়দান করেন বিচারক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার রোদ্দুরকে।
আরও পড়ুন: পয়গম্বরের বিরুদ্ধে মন্তব্য, ধিক্কার জানিয়ে নূপুরদের গ্রেফতারির দাবি তুলে টুইট মমতার