বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা গুলোতে। কয়েকঘন্টার ব্যবধানে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু নতুন এলাকা। বেড়েছে জলবন্দি মানুষের সংখ্যা। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার ৫০ লাখ মানুষের বসতভিটে এখন জলের নীচে। বন্ধ হয়ে গেছে ৮০ শতাংশ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
নেই বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ জল, খাদ্য। সংকটে দেখা দিয়েছে জ্বালানী তেল ও মোমবাতির। বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দর, বাস, ট্রেন। হাসপাতালে থাকা নিহতদের লাশ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানাো যাচ্ছে না জলের কারণে। বাতিল করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছুটি। শনিবার সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও নৌবাহিনীর সদস্যরাও ময়দানে রয়েছেন। মানুষের এই অভাবনীয় দুর্যোগে ও অপরিসীম দুর্ভোগে সকলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্মরণকালের এমন ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েনি সিলেট বিভাগ।
আরও পড়ুন: Pakistan: খুন হতে পারেন ইমরান! ইসলামাবাদে জারি ১৪৪ ধারা, শহর ঘিরল সেনা
সিলেটের বন্যা বাংলাদেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন জলের নীচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। বাকি তিন জেলার শহরের কিছু উঁচু স্থান, পাহাড়ি এলাকা এবং ভবন ছাড়া সবখানে এখন জল। আগামী দুই দিনে এই জল আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা কবলিত এলাকা এবং বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা দেখতে সিলেটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টার থেকে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ এবং সিলেটের পরিস্থিতি দেখেন৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: ‘পুরুষরা খেতে আসুন’, রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনে ‘গাঙ্গুবাই’! বিতর্কের ঝড় পাকিস্তানে