মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া শেষ। সোমবার সকালে জীবনের মঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিলেন তরুণ মজুমদার। বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের মহীরূহ তরুণ মজুমদার।
জানা গিয়েছে, প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদারের নশ্বর দেহ গবেষণার স্বার্থে দান করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। পরিচালকের শেষ ইচ্ছে তা-ই ছিল। দেহদানকারী সংস্থার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে অঙ্গীকারবদ্ধও হয়েছিলেন তরুণ। তবে শেষপর্যন্ত চুক্তিপত্রে সই করা হয়নি। যদিও তাতে তরুণের শেষ ইচ্ছাপূরণে বাধা পড়েনি। পরিচালকের পরিবার তাঁর দেহদানে সম্মতি দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। সোমবার দুপুরে পরিচালকের দেহ হাসপাতাল থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য এনটি ওয়ান স্টুডিয়োয় নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকেই আবার ফিরিয়ে আনা হবে হাসপাতালে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরিচালকের দেহ গ্রহণ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: Achena Uttam: খ্যাতির চূড়ায় দাঁড়িয়ে একা এবং নিঃসঙ্গ, মুক্তি পেল ‘অচেনা উত্তম’- এর ট্রেলার
এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, রাজ্য সরকারের তরফে কোনওরকম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে না তরুণবাবুকে। কারণ এটা ওঁনার শেষ ইচ্ছা। অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘উনি নিভৃতে, নীরবে চলে যেতে চেয়েছে। তাই সাদামাটাভাবেই হবে শেষকৃত্য’। রাজ্যের তরফে সবরকম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল পরিবারকে। তবে তাঁরা তরুণবাবুর অন্তিম ইচ্ছার কথা জানিয়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের চোখ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। দুপুর ২টো নাগাদ তাঁর পার্থিবদেহ বের করা হবে এসএসকেএম থেকে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে এনটি ওয়ান স্টুডিওতে। সেখানে আধ ঘণ্টা মরদেহ শায়িত থাকবে, তবে শ্রদ্ধা জানাতে এলে যেন ফুলমালা না নিয়ে আসা হয়। জানিয়েছে পরিবার। বিকাল সাড়ে চারটা পাঁচটা নাগাদ মরদেহ আবার নিয়ে আসা হবে এসএসকেএম এর অ্যানাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।
আরও পড়ুন: Bismillah: সানাইয়ের সুর আর অসমবয়সী প্রেমগাঁথা, টিজারেই মুগ্ধ করলেন ঋদ্ধি-শুভশ্রী