Boris Johnson Resigns After String Of Resignations

Boris Johnson: পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি?

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন (Boris Johnson)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের ইস্তফা ঘোষণা করেন তিনি। বরিস বলেন, “দেশের মানুষ তথা পার্লামেন্টারি কনজারভেটিভ পার্টির (Parliamentary Conservative Party) সকলেই নতুন নেতা চাইছেন। সর্বোপরি নতুন প্রধানমন্ত্রী চাইছে দেশবাসী। ফলে আমার এই সিদ্ধান্ত।”

সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার (Chris Pincher) নামে এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেসময়। এমন একজনকে কেন প্রশাসনে আনা হল, তার জবাবে জনসন কার্যত দায়সারাভাবেই জানিয়েছিলেন, পিনচার সম্পর্কে এসব তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু পরে সরকারি এক মুখপাত্রই জানান যে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা অসত্য।

আরও পড়ুন: Padma Bridge: পদ্মা সেতুর ৪২ স্তম্ভ স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি: শেখ হাসিনা

পরিস্থিতি জটিল করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ ও অর্থ দপ্তরের প্রধান ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়। এপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চল্লিশ জন মন্ত্রী। সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই অবস্থা চললে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ত। ফলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না। এদিন সকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে নারাজ ছিলেন বরিস। অবশেষে দলের অন্দরের চাপে মাথা নোয়ালেন তিনি।

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন আরও কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম, সদ্য প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনক, প্রাক্তন লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ার টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাধিন জাহাউয়ি। এ ছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাজিদ জাভিদ— দু’জনেই আগের বার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তাই তাঁরা এ বারও দৌড়ে থাকতে পারেন।

আরও পড়ুন: Chicago Shooting: শিকাগোয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে চলল গুলি, নিহত ৯, আহত ৫৭