ভরা জনসভায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পশ্চিম জাপানের একটি জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পশ্চিম জাপানের নারা শহরে গুলি চালানোর খবর ঘটেছে। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কুশিদা।
জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পশ্চিম জাপানের নারা শহরে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শিনজো। সে সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। যিনি গুলি চালিয়েছেন, তাঁর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। ওই ব্যক্তি নারা শহরেরই বাসিন্দা। তাঁর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বন্দুক। জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শিনজোর বুকে গুলি লেগেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পড়েই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের দাবি, গুলি লাগার পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন শিনজো।
আরও পড়ুন: Padma Bridge: হেঁটে পার হওয়া যাবে কি পদ্মা সেতু? যাবে কি সেলফি তোলা? নিয়ম কী কী
安倍元首相、撃たれた。
南無大師遍照金剛
天の御加護があります様に。 pic.twitter.com/1Ma8ZJSOFn— 五香粉炒め (@eeWYTNa1QxcCudM) July 8, 2022
সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা গিয়েছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন আবে। পিছনে এবং আশপাশে তাঁর দেহরক্ষীরা। এমনই সময় পিছন থেকে গুলি ছুটে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখা যায় রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছেন বছর সাতষট্টির শিনজো আবে। তাঁর গলা দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত বয়ে যাচ্ছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা হাত দিয়ে চেপে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। আবের উপরে যে হামলা হয়েছে প্রথমে সে খবর জানতই না তাঁর দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এমনকী স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও প্রথমে শিনজো আবের উপরে হামলার খবর নিশ্চিত করতে পারেনি।
রবিবার জাপানের আপার হাউসে নির্বাচন। তার জন্য নারা শহের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন শিনজো আবে। জাপানের সর্বোচ্চ সময় প্রাইম মিনিস্টারের তখতে ছিলেন আবে। প্রথমে ২০০৬ সালে প্রাইম মিনিস্টার হন তিনি। এরপর ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ওই পদে ছিলেন।
হামলার পর কিছু ভিডিও-ও আসতে শুরু করেছে। এতে সেখানে পদদলিত হওয়ার অবস্থা স্পষ্ট দেখা যায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শিনজো আবে । শিনজো আবের উপরে হামলার এই ঘটনা সকলকেই আতঙ্কিত করেছে। কারণ জাপানে রাজনৈতিক হামলার খবর খুব একটা পাওয়া যায় না। তারপরে জাপানের আগ্নেয়াস্ত্র আইন অর্থাৎ গান কন্ট্রোল ল অত্যন্ত কড়া। জাপানে লাইসেন্সযুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার প্রক্রিয়াও দীর্ঘ। চট করে কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হয় না। যার ফলে জাপানে আগ্নেয়াস্ত্রে মৃতের সংখ্যা বছরে দুই সংখ্যাও পার করতে পারে না।