মুম্বই, কর্নাটকের পর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট। প্রবল বৃষ্টিতে সোমবার সাতজন মারা গেছেন। গুজরাটের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রাজ্যের অধিকাংশ নদী ও জলাধার। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী পাঁচ দিন একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র রজনীকান্তের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী বলেছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। অতিবৃষ্টি, বজ্রপাতের ফলে ১ জুন থেকে এখনও অবধি ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯০০০ মানুষকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪৬৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ রবিবার রাতে আমেদাবাদে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। সোমবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল–কলেজ বন্ধ রয়েছে গুজরাটে।
আরও পড়ুন: Terrorist Caught: জম্মুতে ধৃত লস্কর জঙ্গি, ছিল বিজেপি’র আইটি সেলের প্রধান পদে
Gujarat | Heavy rainfall results in severe water logging and flood-like situation in Ahmedabad (11.07) pic.twitter.com/hzENXGv0Zl
— ANI (@ANI) July 11, 2022
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাট। সেখানকার একাধিক অংশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ বাড়ির একতলা জলের তলায়। ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন। ট্রেন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মোদি ছাড়াও এই অবস্থায় গুজরাটকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে।
বর্ষা আসার পরেই সারা দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত এক লক্ষ মানুষ। তেলেঙ্গানায় (Telengana) বন্যার ফলে কারওর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্তত ১৫টি বাড়ি ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ছ’শোর উপরে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় আবহ দপ্তরের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায়। আগামী পাঁচদিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই রাজ্যগুলিতে।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, রায় কেরল হাইকোর্টের