প্রয়াত সংগীত শিল্পী ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বার্ধক্যজনিত একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী। সোমবার সন্ধে ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মূত্রনালীতে একাধিক সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। সোমবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
তাঁর বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে রয়েছে, ‘এক অকেলা ইস শহর মে’, ‘নাম গুম যায়েগা’, ‘দিল ঢুন্ডতা হ্যাঁয় ফির ওয়াহি’ ‘মেরা রঙ দে বসন্তি চোলা’, ‘প্যায়ার হামে কিস মোড় পে লে আয়া’, ‘হুজুর ইস কদর’, ‘এক আকেলা ইস শহর মে’, ‘জিন্দেগি মিলকে বিতায়েঙ্গে’, ‘বিতি না বিতায়ে ব়্যায়না’। ইত্যাদি। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় অভিনীত ‘ত্রয়ী’ ছবিতে ভূপিন্দরের গাওয়া, ‘কবে যে কোথায় কী যে হল ভুল’ আজও এই প্রজন্মের প্রিয়। তাঁর ভারী কণ্ঠস্বরের নরম সুরে ‘মৌসম’, ‘সত্তে পে সত্তা’, ‘আহিস্তা’, ‘দুরিয়া’ ছবির গান শ্রোতাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: Virat-Anushka: ব্যাটে রান নেই, অনুষ্কাকে নিয়ে কীর্তন শুনতে গেলেন বিরাট
ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম অমৃতসরে। বাবার কাছে গানে তালিম নিতে শুরু করেছিলেন। কেরিয়ারের শুরুতে ভূপিন্দর সিং দিল্লির অল ইন্ডিয়া রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন। পরে দূরদর্শনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তিনি গিটার এবং বেহালাও বাজাতেন। ১৯৬২ সালে, সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহন এআইআর প্রযোজক সতীশ ভাটিয়ার ডিনার পার্টিতে ভূপিন্দরকে গান গাইতে শোনেন। তারপর তিনি ভূপিন্দরকে মুম্বইতে ডেকে পাঠান এবং মহম্মদ রফি, তালাত মেহমুদ ও মান্না দে-র সঙ্গে ‘হোকে মজবুর উসনে মুঝে বুলায় হোগা’ গানটি গাওয়ার সুযোগ দেন। হকিকত সিনেমার এই গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভূপিন্দর সিং মিতালি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। মিতালি বাংলাদেশের একজন শিল্পী ছিলেন। ভূপিন্দর ও মিতালি একসঙ্গে অনেক গজল গেয়েছেন এবং লাইভ শো করেছেন। তাঁদের ছেলের নাম নিহাল সিং। তিনিও একজন সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: Priyanka Chopra: জুলাইয়ের জুয়েল! নিকের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ৪০-এ পা পিগি চপসের